বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দারুণ বোলিং করলেন রুবেল হোসেন। শেষ দিকে তার গতি ও সুইং তাণ্ডবে ২২১ রানে গুটিয়ে গেল শ্রীলংকা। শিরোপা ঘরে তুলতে হলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
ফাইনালের লড়াইয়ে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় শ্রীলংকা। তবে শুরুতেই হোঁচট খায় দলটি। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন দানুশকা গুনাথিলাকা।
এর পর ক্রিজে এসেই তাণ্ডব চালান কুশল মেন্ডিস। তার ব্যাটে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠছিল শ্রীলংকা। তবে তাকে বেশিক্ষণ দৌড়াতে দেননি মাশরাফি। দলীয় ৪২ রানে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে মেন্ডিসকে (২৮) ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মেন্ডিসের পর নিরোশান ডিকভেলাকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন উপুল থারাঙ্গা। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন ডিকভেলাও। দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন তারা। প্রতিটি বলের গুণাগুণ বুঝে ব্যাট চালাচ্ছিলেন। গড়ে ফেলেছিলেন ৫০ রানের জুটি। ধীরে ধীরে তাদের জুটি রূদ্রমূর্তি ধারণ করছিল। ডিকভেলাকে (৪২) ফিরিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা সেই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
একে একে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরলেও থেকে যান থারাঙ্গা। শক্ত হাতে ধরেন দলের হাল। দিনেশ চান্দিমালকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাদের জুটিতে ভর করে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল শ্রীলংকা। তবে তাতে বাদ সাধেন মোস্তাফিজুর রহমান। থারাঙ্গাকে (৫৬) সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এ নিয়ে দারুণ কীর্তি গড়েন মোস্তাফিজ। দেশের হয়ে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন তিনি। মাত্র ২৭ ম্যাচ খেলে এ নজির স্থাপন করেন কাটার মাস্টার। বৈশ্বিকভাবে ষষ্ঠ বোলারের কীর্তি এটি।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ডটি ছিল অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার আব্দুর রাজ্জাকের। তিনি ৫০ উইকেট শিকার করেন ৩২ ম্যাচে।
পরে ক্রিজে আসেন থিসারা পেরেরা। তবে এদিন ঝড় তোলার আগেই বিদায় নেন তিনি।দলীয় ১৬৩ রানে তামিম ইকবালের তালুবন্দি করে বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যানকে ফেরান রুবেল হোসেন। এতে চাপে পড়ে লংকানরা। এর মধ্যে আসেলা গুনারত্নেকে ফিরিয়ে অতিথিদের ওপর চাপটা বাড়িয়ে তুললেন এ রিভার্স সুইং তারকা।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস