বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: গত ২৪ ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মায় স্রোত ও নাব্যতা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে চরম অচলাবস্থা সৃ্ষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচলে।
গতকাল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি রো রো ফেরি ছয় ঘণ্টা ডুবোচরে আটকে থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত সকল ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল থেকে কোনোমতে তিন-চারটি ফেরি চলছে। তীব্র স্রোতে ড্রেজিং কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অধিকাংশ ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও শ্রমিকরা।
সরেজমিনে বিআইডাব্লিউটিএ, বিআইডাব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় দুই সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধিসহ গত কয়েকদিনে অব্যাহত হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের লৌহজং টার্নিংয়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ঘূর্ণিস্রোত। সেইসঙ্গে উজানে ব্যাপক নদী ভাঙনের পলি তীব্র স্রোতে ভেসে এসে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত সোমবার রাত ৮টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত ডুবোচরে রো রো ফেরি এনায়েতপুরী লৌহজং টার্নিং-এর ডুবোচরে আটকা পড়ে। ঝুঁকি এড়াতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সকল ফেরি বন্ধ রাখা হয়।
সকালে ফেরি সার্ভিস শুরু হলেও কোনোমতে যে তিন-চারটি ফেরি চলছে তাতে ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে তিনগুণ থেকে চারগুণেরও বেশি সময় নিচ্ছে। রো রো ফেরিসহ অধিকাংশ ফেরি বন্ধ রয়েছে। ফেরি পারাপারে অচলাবস্থায় উভয় ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রীবাহী পরিবহন, কাঁচামালবাহী ট্রাকসহ ছয় শতাধিক যানবাহনসহ উভয় ঘাটে সহস্রাধিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও শ্রমিকরা।
বিআইডাব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ব্যবস্থাপক আ. সালাম বলেন, সকাল পর্যন্ত সকল ফেরি বন্ধ থাকার পর কয়েকটি ফেরি চললেও ঘাটে পৌঁছাতে সময় লাগছে কয়েকগুণ বেশি। উভয় ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে অনেক যানবাহন। সূত্র: কালের কণ্ঠ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস