বাংলা৭১নিউজ, মুন্সীগঞ্জ: ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শুক্রবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নেমেছে ঈদে ঘরফেরা মানুষের ঢল।
যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে চড়ে আসতে থাকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। ১৭টি ফেরি দিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। অতিরিক্ত ভাড়া ও জীবনের ঝুঁকি নিয়েও লঞ্চ আর স্পিডবোটে পাড়ি দিচ্ছে যাত্রীরা। পারাপারের অপেক্ষায় আছে প্রায় ৯ শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সারিও দীর্ঘ হচ্ছে। ছোট প্রাইভেট কারের সংখ্যা বেশি।
মাওয়া নৌফাড়ির ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন জানান, গাড়ির চাপ রয়েছে। সারিবদ্ধভাবে পারাপার হচ্ছে। তবে ফেরিতে উঠতে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বরিশালগামী মো. রহিম মিয়া জানান, ‘গুলিস্তান থেকে সকাল বেলা রওনা হয়েছি, তবে ভাড়া ২০ টাকা বেশি নিছে। খালি গাড়ি ফেরত আসবো। পরিবারের সাথে ঈদ করমু তাই যাইতাছি।’
আমেনা বেগম ঢাকার মিরপুর থাকেন দুই ছেলের সঙ্গে। যাবেন খুলনা অন্য ছেলে ও নাতিদের সঙ্গে ঈদ করতে। তিনি জানান, ‘কষ্ট একটু হলেও ঈদের আনন্দ সাবার সাথে করব। সারা বছর তো আর যাই না।’
ঢাকার মো. মোতালেব আহমেদ জানান, পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছি যশোর যাব। ভোর রাতে ঘাট এলাকায় এসেছি। ৫ ঘন্টা হয়েছে। এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। খারাপ লাগছে না। ঈদ করবো সবার সাথে। মা-বাবা আছেন।
লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ছাড়তে দেখা গেছে। তবে ঘাট এলাকায় পুলিশ টহলের কারণে লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
স্পিডবোট ১৮০ টাকা নিচ্ছে। আগে ছিল ১৫০ টাকা ছিল। ঈদে ৩০ টাকা বেশি করে ১৮০ টাকা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কারণ কাওড়াকান্দি থেকে খালি আসতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, প্রায় ৯ শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য প্রায় সব ফেরিতে কম গাড়ি উঠানো হচ্ছে।
তবে গাড়ির এই দীর্ঘলাইন দ্রুত কমে আসবে। ১৭টি ফেরি দিয়ে গাড়ি পারাপার হচ্ছে। মধ্য রাত থেকে মাওয়া ঘাটে পারাপারের জন্য চাপ বারতে খাকে। নদীতে স্রোত ও ঢেউ থাকাতে ফেরি পারাপার হতে আগের চেয়ে এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় বেশি নিচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/আরএন