বাংলা৭১নিউজ, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল শিবালয় উপজেলা শাখার সভাপতি ডাঃ ফজলুল হক শুক্রবার ভোরে ইন্তেকাল করেছেন।( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দুরারোগ্য ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রোগে আক্রান্ত হলে তিনি ঢাকার এইচআরসি হাসপাতাল এবং ভারতের চেন্নাই এ উন্নত চিকিৎসা নেন ।অবশেষে ঢাকার ডেল্টা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিল।এতে তার অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় । বাড়িতে আনার দু’দিন পর শুক্রবার সকাল পৌনে ৬টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় ছোট আনুলিয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্তানে তাকে দাফন করা হয় ।
নামাযে জানাজায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহ্বাজ আঃ রহিম খান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান মিঠু,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বাবুল হোসেন বাবু, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কুদ্দুস, উলাইল ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বহু গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ অংশ নেন। তার মৃত্যুতে শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী সমিতি বিশেষ শোক কর্মসূচী পালন করছে ।
ডা. ফজলুল হক ছিলেন একজন সুনামধন্য পল্লী চিকিৎসক। সে সুবাধে এলাকার এমন কোন বাড়ি নেই যে তার পদাচরনা পড়েনি। রাত নেই, দিন নেই কারো অসুস্থর কথা শুনলে ব্যাগটি হাতে নিয়ে ছুটে গেছেন তার বাড়িতে।সমাজ উন্নয়নেও তার যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে।সে আরিচা কাশাদাহ পানি ব্যবস্থাপনা সমবাবায়বায় সমিতি লিমিটেডের কয়েকবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।সরকারীভাবে তিনি শ্রেষ্ট সভাপতি হিসেবে পুরুস্কার পেয়েছেন।ছোট আনুলিয়া নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন মসজিদ ও স্কুল।
ডা. ফলজূল হক ১৯৬৩ সালে শিবালয় উপজেলার ছোট আনুলিয়া গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি তার জীবদ্দশায় শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী সমাজ কল্যান সমিতি, মোহামেডান ইয়ুথ ক্লাব,শিবালয় আনসার ভিডিপি উন্নয়ন গ্রাম সমবায় সমিতি সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আজীবন জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক কাসাদহ খাল খনন কর্মসূচীতে অংশ নেন। এই খালের পাশেই তার পৈতৃক বাড়ী অবস্থিত। বিধায় এই খালের সেচ প্রকল্পের সাথে একজন কৃষক হিসেবে আজীবন সম্পৃক্ত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস