বাংলা৭১নিউজ, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কম পক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এব্যাপারে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনা সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২ ছাত্রলীগ নেতাকে শিবালয় থানা পুলিশ আটক করেছে।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ চলে আসা বিরোধের কারণে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া গং এবং শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা গং এর মধ্যে হামলা ও পালটা হামলা চলে আসছিল। গত বছর হামলা ও পালটা হামলার ঘটনায় ৫ ছাত্র নেতা গুরুতর আহত হয়েছিল। এরপর পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশসহ নানা রাজনৈতিক কর্মসূচী পালিত হচ্ছিল। মাঝে কিছুদিন শান্ত থাকার পর গত ১জুলাই শিবালয় সদর উদ্দিন কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই দু’গ্রুপের মধ্যে আবার পাল্টা পাল্টি কর্মসূচী শুরু হয়। এদিন থেকে উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা হামলা ও পাল্টা হামলা ঘটনা ঘটে। মোঃ সেলিম রেজার অনুসারী নাজমুল হুদা নয়ন গং ১০/১২জন নেতা কর্মী নিয়ে সোমবার প্রতিপক্ষ মোঃ সেলিম মিয়ার অনুসারী আনিস-সুজন গং এর বিরুদ্ধে হামলার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে শিবালয় উপজেলা ষাইটঘর তেওতা এলাকায় যায়। এসময় উভয় পক্ষে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এতে কম পক্ষে ৫ জন আহত হয়। শিবালয় সদর উদ্দিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শিবালয় গ্রামের মোঃ খলিল মল্লিকের ছেলে মোঃ নাজমুল হুদা নয়ন (২৩), মরহুম চুন্নু মিয়ার ছেলে মোঃ দীপু মিয়া (২০), ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়। রবিবার অপর এক হামলায় একই গ্রামের বড় খোকার ছেলে তুষার (২১),আহত হয়। এব্যাপারে মোঃ সেলিম মিয়া গং এর বিরুদ্ধে ১০/১৫ জনকে আসামী করে শিবালয় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসিফ ও রুবেল নামের ২ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ আটক করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস