আগামী ৭ জুন চূড়ান্তভাবে জোড়া লাগবে কুয়াকাটায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিইউ-৫ এর সিঙ্গাপুর প্রান্তের ব্যান্ডউইথ। এরপর থেকে আবারো সিমিইউ-৫ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ শুরু হবে।
সোমবার (৩ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ।
তিনি বলেন, সবশেষ আপডেট অনুযায়ী আগামী ৭ জুন (শুক্রবার) সিমিইউ-৫ এর সিঙ্গাপুর প্রান্তের ছিঁড়ে যাওয়া ব্যান্ডউইথ জোড়া লাগবে। সাবমেরিন ক্যাবল কর্তৃপক্ষ এমন তথ্যই আমাদের জানিয়েছে। এটি জোড়া লাগলে এরপর থেকে আবারও নিরবচ্ছিন্ন ব্যান্ডউইডথ সেবা সরবরাহ শুরু হবে।
একইসাথে ইন্টারনেটের যে সামান্য ধীরগতি রয়েছে সেটিও কেটে যাবে। তবে এখন তেমন সমস্যা নেই। কারণ কক্সবাজারে অবস্থিত ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৪ এর মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা চলমান রয়েছে।
মূলত, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টায় বিএসসিপিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিইউ-৫ সিঙ্গাপুর থেকে পশ্চিম প্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিমিইউ-৫ কনসোর্টিয়াম ইন্দোনেশিয়ায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। কনসোর্টিয়ামের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগামী ৭ জুন ক্যাবলটির পুনঃসংযোগ কাজ সম্পন্ন হবে।
তবে এই সময় সিসিইউ-৫ এর মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়া প্রায় ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সিসিইউ-৪ ক্যাবলে স্থানান্তর করেছে বিএসসিপিএলসি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে।
বর্তমানে সি-মি-উই-৪ এবং সি-মি-উই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সি-মি-উই-৪ এর জন্য বিএসসিসিএল এর ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সি-মি-উই-৫ এর জন্য বিএসসিসিএল এর ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম