ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘শিক্ষিত লোকজন নেতৃত্বে আসলেই দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। শিক্ষিত লোক খারাপ করলে কতটুকু খারাপ করবে, তারও সীমা আছে। তারা বুঝে শুনে আইন মেনে চলবে। শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে আসলে দেশের অবস্থা আরও উন্নত হবে।’
সোমবার (২৫ মার্চ) গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) অ্যাকাডেমিক মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অসংখ্য দিন জেল খেটেছেন। ৫০ বছর বয়সে তিনি দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন, যার জন্য আমরা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করি। আমেরিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী। তারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে। যারা দেশবিরোধী তারাই এ কথা বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মিথ্যা কথা বলি না, অবৈধভাবে উপার্জনও করি না। আমি নির্বাচিত হওয়ার জন্য আজ সাভারে শান্তির সুবাতাস বইছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নেই।’ এ সময় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান।
মূল আলোচকের বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী আমাদের পড়তে হবে। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, সেই রাষ্ট্রে বসেছেন এবং পরিচালনা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন মানুষের অভাব ও শোষণ নিপীড়ন থাকবে না। এই চেতনা আজ মৃত। তার আদর্শে আমরা নেই। তার আদর্শে উজ্জীবিত হতে হবে। বঙ্গবন্ধু যা বলে গেছেন তা শিখানো ও উৎসাহিত করতে হবে শিশুদের।’
সভাপতির বক্তব্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। তার ১৭ মিনিটের ৭ মার্চের ভাষণে ওই সময়ের পরিস্থিতি জানতে পারি। আমরা গ্রামে যাই না, গেলে মাদকের ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন। মাদকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি শিশু-কিশোরদের প্রতিই পড়ে। মাদককে না বলতে হবে এবং এর খারাপ দিক তুলে ধরতে হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এরপর শিশু দিবস উপলক্ষে ‘শিক্ষায় মুজিব দর্শন’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. পারভেজ দেওয়ান, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ