দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে এনজিও ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উপ-পরিচালক (বাস্তবায়ন, অর্থ ও লজিস্টিক) রিপন কবীর লস্করের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি দুদকে জমা হওয়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল থেকে অনুসন্ধানের জন্য সুপারিশ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কমিশন থেকে অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে আরও জানা যায়, সীমাহীন দুর্নীতি ও নিজ দপ্তরের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামে-বেনামে এনজিও ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ লোপাট করে একাধিক বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপ-পরিচালক রিপন কবীর লস্কর।
উপ-পরিচালক রিপন কবীর লস্কর অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন এনজিওদের নামে নিজেরাই বেনামে অভিযোগ তৈরি করেন। পরে নিজেরাই প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সেজে সংশ্লিষ্ট এনজিওদের থেকে অনেক অর্থ হাতিয়ে নেন।
প্রকল্প-১ থেকে শুরু করে পিএলসিএইচডি-১, ২, বিএলপি ও সর্বশেষ সেকেন্ড চান্স প্রকল্পে তাদের তৈরি করা নামে-বেনামে একাধিক এনজিও দিয়ে ব্যবসা করেছেন। এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন রিপন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ