রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কাউন্সিল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত বগুড়া বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হেনরীর জমি, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেশে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত ২৬ ফুট লম্বা স্যান্ডেল, গিনেসে নাম উঠছে সানিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ও বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান নেত্রকোণায় এসআইকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করেনি: প্রেস সচিব বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ বাঁধাতে চাইছে: মমতার মন্ত্রী আমাদের মূল ফোকাস জাতীয় নির্বাচন: ইসি সানাউল্লাহ তিন মাসে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৮১০ ছিনতাইকারী আরও ৫ সেল গঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির চাদর দিয়ে শেড তৈরি করে তালা কেটে দোকানে ঢোকে চোররা ‘নিরাপদ খাদ্য ও নির্মল বাতাসের জন্য ছাদ বাগানের বিকল্প নেই’ উত্তর গাজায় ১০ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু সাকিব-লিটনকে ছাড়াই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা বিজিবির শক্ত অবস্থানে ভারত বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে চানখারপুলে গণহত্যা : কনস্টেবল সুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ সিরিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দুটি বিকল্প দেখালেন এরদোগান যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২, আহত ৩০

শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর দায় কার, যা বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যু নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর দায় হাসপাতালের ওপর চাপানো ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে হাসপাতালটি।

আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) অভিজিতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ও কলেজে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ব্রি. জে. (অবসরপ্রাপ্ত) ইফফাত আরা।

তিনি বলেন, অভিজিতের মৃত্যুর দিন রাতে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি ৯০ ভাগ সমাধান হওয়ার পরও পরিবার ও শিক্ষার্থীরা অন্যান্যদের তা না জানানোয় এমন ঘটনা ঘটেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খবর থেকে বোঝা যায় যে, কোনো কোনো কুচক্রী মহল হাসপাতালের ওপর মিথ্যা দায়ভার চাপানোর ঐকান্তিক চেষ্টায় লিপ্ত যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রোগীর মৃত্যু হলেই ভুল চিকিৎসা, দায়িত্বে অবহেলা বলে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের লাঞ্ছিত করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। 

ইফফাত আরা বলেন, হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা সেবার সুস্থ পরিবেশ বিনষ্ট করা, হাসপাতালের সব স্তরের চিকিৎসক নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে হাসপাতাল ও কলেজ ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর করে ক্ষতি করা, অসুস্থ রোগীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ন্যাশনাল কলেজে হামলায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজের প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যালয়, বহিঃবিভাগ, জরুরি বিভাগ, দন্ত বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

এছাড়া ক্যাশ কাউন্টারে ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ভেতরে দেশি বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ রোগী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্থিক সেবায় নিয়োজিত পূবালী ব্যাংকের শাখাতেও ব্যাপক ভাঙচুর করে। সংবাদ সম্মেলনে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কলেজের উপ-পরিচালক ডা. মো. রেজাউল হক বলেন, আমরা নিহতের পরিবারের অনুরোধে তাদের ৩৬ হাজার টাকার আইসিইউ বিল স্থগিত রাখি। তার পরিবারের কাছে অ্যাম্বুলেন্স বিল ছিল না।

সেটার জন্য আমরা ১০ হাজার টাকা দিতে যাই। পরে তারা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কতৃপক্ষের থেকে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে সক্ষম হয়। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি মৃত্যুর ঘটনা চাপা দেওয়া সম্ভব?রোগীর মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট না দেখানো, আইসিইউতে ভর্তি ও ডেথ সার্টিফিকেটে জোর করে পরিবারের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষরের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, রাতে আমাদের হাসপাতালে সিনিয়র কেউ থাকে না। সিকিউরিটি ইনচার্জ ও ইমার্জেন্সি ডাক্তার থাকে। তাদের (মোল্লা কলেজ) স্টুডেন্টরা যখন আসে তখন আমরা হাসপাতালে ছিলাম না।

পরে আমরা আসি। আমরাই জিম্মি ছিলাম। পরে পুলিশ, আর্মির সাহায্যে রক্ষা পাই।ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও ডা. মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, অভিজিতের মারার যাওয়ার ঘটনায় তার কলেজের ৩০/৪০ জন হাসপাতালে আসে। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনাও হয়। সোহরাওয়ার্দী ও নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করতে এসেছিল। তখন তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এটা আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা। আমরা তাদের ডাকিনি।

এদিকে অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও ডাক্তারের অব্যাহতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি। সেখানে ডা. মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি রাখার জন্য বলা হয়।

তাদের বলা হয়, দেশের যেকোনো জায়গায় একজন রেজিস্টার্ড ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞ রাখার জন্য। তারা দুদিন পার হলেও তাদের প্রতিনিধি দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কর্তব্যরত ডাক্তার শেফাকে কর্ম থেকে বিরত থাকতে বলেছি।

সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালসহ শিক্ষক, ডাক্তার ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com