বাংলা৭১নিউজ, প্রতিনিধি: পাঁচ শিক্ষকের ভুলেই তার খেসারত দিচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী। প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে সি ইউনিটের বাতিল হওয়া পরীক্ষার্থীরা বাস শ্রমিকদের হাতে মার খাওয়াসহ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। দুদিন হাতে রেখে আবারো পরীক্ষা নেবার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সুত্র মতে, গত মঙ্গলবার সি ইউনিটের পরীক্ষায় একই প্রশ্নে দুই শিফটের পরীক্ষা নেয়া হয়। ঘটনা প্রকাশ পেলে দিনের প্রথম শিফটের পরীক্ষা বহাল রেখে বাকি দুই শিফটের পরীক্ষা বাতিল ও স্থগিত করে প্রশাসন। জরুরি মিটিংয়ে দিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা আগামী ৮ই ডিসেম্বর নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইউনিট সমন্বয়কারী কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, সদস্য প্রফেসর ড. জুলফিকার হোসেন, (লোক প্রশাসন), প্রফেসর ড. রাকিবা ইয়াসমিন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), প্রফেসর ড. নাসিম বানু (ডেভলোপমেন্ট স্টাডিজ) এবং প্রফেসর ড. মামুনুর রহমনের (প্রো-ভিসির প্রতিনিধি) ভুলের কারণে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন তৈরীতে তাদের অবহেলা ও অদক্ষতার কারনে পুন:পরীক্ষার সিদ্ধান্ত এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে ভর্তিচ্ছুদের।
বাতিল হওয়া দুই শিফটের অবশিষ্ট ১০ হাজার ৯৫২ জন শিক্ষার্থীর নানা সংকট ও ভোগান্তি শুরু হয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিতে মঙ্গলবার সন্ধায় বুকিং টিকিট বাতিল করতে গিয়ে বাস শ্রমিকদের হাতে ভর্তিচ্ছুরা মারধরের শিকার হয়। এতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। টিকিট ফেরত না পেয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত নষ্ট হয়েছে। শুক্রবার পরীক্ষা দিয়ে আবারো তাদের দ্বিতীয়বার টিকিট বুকিং দিতে হবে।
এদিকে দেশের দুর দুরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বাড়িতে চলে গেছে। আবারো স্বল্প সময়ে পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ করে একবার পরীক্ষা দিতে এসে আবারো অংশ নিতে হিমশিম খাচ্ছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। অপরদিকে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিতে দ্রুত সময়ে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে আসা হেলাল, শরিফ, ইস্তিয়াক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ৭৫০ টাকা করে টিকিট বুকিং দিয়েছিলাম। কিন্তু বাস কতৃপক্ষ আমাদের বুকিং বাতিল করে টাকা ফেরত দেয়নি। উল্টো তাদের হাতে আমাদের মারধর খেতে হয়েছে। নরসিংদীর সোহাগ বলেন, আমি বাড়িতে গিয়ে আবার এসে পরীক্ষা দিতে পারবো না। এখন এ বাড়তি কষ্টের দায় কে নেবে?
ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কামনা করছি। আমাদের টাইট শিডিউলের কারনে কম সময়ের মধ্যে সবকিছু সম্পন্ন করতে হচ্ছে। কিছু কুচক্রি মহল সবসময় আমাদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করবেই। ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি করার মাধ্যমে দোষীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস