বাংলা৭১নিউজ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুস্কৃতিকারীদের কাছ থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগমের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় শিউলীর সহকর্মী আরিফের ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় মির্জাপুর থানা পুলিশ আদালতের কাছে আরিফের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করে। শুক্রবার থেকে এই রিমান্ড শুরু হবে ।
গত ২৬ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে বাস যোগে পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের শরীফ খানের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসে আর্তচিৎকারের কিছুক্ষণ পর দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থান থেকে শিউলীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।।
ঘটনার ১৫ দিন পর বাসটি আটক এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাস চালক রনি শেখ ও তার ছোট ভাই হেলপার সোহেল রানা ওরফে রানা শেখ এবং শিউলীর সহকর্মী আরিফ খানকে গ্রেফতার করে। রনি শেখ ও রানা শেখ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাংখার চর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে।র্ ী আরিফ মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে।
আরিফ খানকে পুলিশ তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। আরিফের দেয়া এলোমেলো তথ্যে পুলিশ এই ঘটনার সঠিক কোন তথ্য পাচ্ছেননা বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজান জানিয়েছেন।
বাস চালকের ভাষ্য মতে আরিফই এই ঘটনার মুল নায়ক।
আরিফকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় আদালতের কাছে মির্জাপুর থানা পুলিশ দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুর হক বলেন আরিফকে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের কথা স্বীকার করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস