রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

শার্শায় ধর্ষণের অভিযোগ: এসআই প্রত্যাহার গ্রেফতার ৩

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলায় রাতের আঁধারে বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এসআইসহ চারজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় ওই নারী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলার পর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর অভিযুক্ত গোড়পাড়া পলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল আলমকে সকালে প্রত্যাহার করা হয়।

তবে ধর্ষণের ঘটনায় যাকে ‘প্রধান অভিযুক্ত’ হিসেবে ওই নারী দাবি করেছিলেন সেই এসআই খায়রুলকে আসামি করা হয়নি। ওই নারীর দাবি, ধর্ষণের সময় পুলিশ সদস্যসহ চারজন উপস্থিত ছিলেন। এসআই খায়রুল ও সোর্স কামরুল তাকে ধর্ষণ করেছেন। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার বলেন, বুধবার ভোরে শার্শার চটকাপোতা গ্রামের কামরুল ইসলাম, লক্ষ্মণপুরের ওমর আলী ও আবদুল লতিফকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। আর অজ্ঞাতনামা আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। অজ্ঞাতনামা আসামি যেই হোক- তাকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

প্রধান অভিযুক্ত খায়রুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ভিকটিমের সামনে মঙ্গলবার রাতে এসআই খায়রুলকে কয়েক দফা আনা হয়। কিন্তু তিনি খায়রুলকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেননি। যেহেতু এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী এক সময় চোরাচালানে নিয়োজিত ছিলেন, বর্তমানে কৃষিকাজ করেন তিনি। ৯ দিন আগে এসআই খায়রুল বাড়ি থেকে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। পরে এসআই খাইরুল তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় ওই নারীর স্বামীর কাছে ৫০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেছে বলে মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়।

ওই নারী সাংবাদিকদের আরও জানান, সোমবার রাত আড়াইটায় এসআই খায়রুল, তার সোর্স কামরুল ও গ্রামের আরও তিন-চারজন বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করেন। এত রাতে দরজা খুলতে না চাইলেও তারা আমার স্বামীর নামে মামলা দেবেন বলে হুমকি দেন। তখন আমি দরজা খুলে দিই। এ সময় খায়রুল আবারও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে ৫৪ ধারায় মামলা করার হুমকি দেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তিনি ও কামরুল মিলে আমাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী আরও বলেন, এসআই খায়রুলসহ অন্যরা চলে যাওয়ার পর ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানাই। প্রতিবেশীরা আমাকে মামলা করার পরামর্শ দেন। মামলা করতে হলে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করাতে হবে। এ কারণে আমি থানায় না গিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে যাই।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী জরুরি বিভাগে আসেন। অভিযোগ শুনে তাকে পুলিশের মাধ্যমে আসার জন্য বলা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ওই নারীকে পুলিশ সুপারের কাছে নিয়ে যান।

পরে পুলিশের মাধ্যমে আসায় ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। ভুক্তভোগী ওই নারীর বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ আমাদের কোনো ভয়ভীতি দেখায়নি।

শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমান বলেন, ওই নারী তিনজনের নাম উল্লেখসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন। এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহার প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, তিনি কর্মরত থাকলে মামলার তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। যাতে নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত হয়, সেই জন্য তাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সার্কেল এএসপি ও কোর্ট ইন্সপেক্টর। তিনদিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। বুধবার দুপুরে খুলনার ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সঙ্গে ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হকসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

বাংলা৭১নিউজ/আবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com