বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনের মিছিলে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক-গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে রাজপথে নেমেছিলেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। পরে জিপিও’র সামনে জিরো পয়েন্টের কাছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি।
নূর হোসেনের এ আত্মদান স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তিনি হয়ে উঠেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এক অনন্য প্রতীক। এই আন্দোলনের জোয়ারে নব্বইয়ের শেষ দিকে ভেসে যায় স্বৈরাচারের তক্তপোশ। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয়, আর অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ১০ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে নূর হোসেনের মতো সাহসী মানুষদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে ওইদিনের শহীদদের স্মরণ করে বলেন, ‘তাদের এ আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএস