শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার যথার্থ: সজীব ওয়াজেদ জয়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮
  • ২০০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সাংবাদিক শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার যথার্থ (এপ্রোপ্রিয়েট) বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য প্রযুুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তার দাবি, গত মাসে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রবিক্ষোভ চলাকালে গুজব ছড়িয়ে দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মিডিয়া আউটলেট রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্সে প্রকাশিত একটি লেখায় এমন মন্তব্য করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।

ওই লেখায় জয় লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দ্রুততার সঙ্গে সহিংতায় রূপ নেয়। এই সহিংসতায় রূপ নেয়ার জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশী ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলম।

সহিংসতায় তিনি উস্কানি দিয়েছিলেন বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা সত্ত্বেও তিনি সেলিব্রেটি হওয়ার কারণে তার পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে।

জয় বলেছেন, ঢাকায় কলেজ পড়ুয়া দু’জন শিক্ষার্থীকে একটি বাসে চাপ দেয়ার পর তারা মারা যায়। এ ঘটনায় বেদনাহত শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। তারা নিরাপদ সড়কের দাবি জানায়। তবে সরকার তাদের কথা শুনেছে এবং প্রশ্নাতীতভাবে তাদেরকে ‘হ্যাঁ’ বলেছে। তিনি বলেছেন, সরকার ট্রাফিক আইন উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে শাস্তি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে বিক্ষোভ সফল হয়েছে। কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতারা এটাকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের একটি সুযোগ হিসেবে দেখে। এতে ছাত্রদের গ্রুপকে অনুপ্রবেশ করায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদস্যরা। কখনো কখনো তাদেরকে শিক্ষার্থীদের পোশাক পরিয়ে নামায় এবং পরিস্থিতিতে ঘোলাটে করে তোলে। কিন্তু বিএনপির ওই উস্কানি বেশি দূর এগুতে পারে নি।

ওই লেখায় জয় লিখেছেন, শহিদুল আলম বিএনপির পাশাপাশি ভূমিকা রাখাকে বেছে নেন এবং যথার্থভাবেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রদের মৃত্যু সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি সামাজিক ও প্রথাগত মিডিয়া আউটলেট দুটি মাধ্যমকেই ব্যবহার করেছেন। এতে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রধান কার্যালয়ে হামলা হয়।

ওই লেখায় আরো বলা হয়েছে, তার মিথ্যা ও প্ররোচণামুলক তথ্যের কারণে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। আর ওই হামলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সদস্য স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যান। শহিদুল আলতের বিতর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই শুধু তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নি। একই সঙ্গে তার সর্বশেষ কথাবার্তা বাস্তবেই ক্ষতির কারণ হয়েছিল। মিস্টার আলমের বক্তব্য একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পরিণত হয় আইন না মানা এক সহিংসতায়।

জয় আরো লিখেছেন, তরুণ ছাত্রদের বিক্ষোভকে হাইজ্যাক করে এবং তাদের জীবনকে বিপদের মুখে ফেলে দিয়ে, পাশাপাশি আরও অনেক বাংলাদেশীর জীবনে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়ার নাম রাজনীতি নয়। এটা সন্ত্রাস।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জয় বলেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক ভিন্নমত অবাধে প্রকাশ করে আসছেন শহিদুল আলম। কখনো তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। আবার কখনো তিনি কঠোর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু প্রতিটি সময় সরকার তার অবাধ মত প্রকাশের অধিকারকে সুরক্ষিত রেখেছে। এটা এমন একটি অধিকার যা সব বাংলাদেশীর আছে। জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে সরকার শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে, প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া সরকারের জন্য জরুরি ছিল। এক্ষেত্রে শহিদুল আলম একজন ভিকটিম নন। তার কর্মকান্ডে প্রচুর মানুষের ক্ষতি হয়েছে।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো একটি জনাকীর্ণ থিয়েটারে যদি আগুন নাও থাকে তবু সেখানে আগুন উচ্চারণ করাটা অবৈধ। একই রকমের কাজ বাংলাদেশে করেছেন শহিদুল আলম। ফলে তার বিরুদ্ধে সঠিকভাবেই অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশে এটা হলো জাতীয় নির্বাচনের বছর।

তাই বিরোধীরা যে সরকারের অর্জন থেকে মনোযোগ ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে তাতে কারো বিস্মিত হওয়া উচিত নয়। সরকারের অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩ কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে তুলে আনা। দেশের জাতীয় মাথাপিছু আয় দ্বিগুন করা।
জয় আরো বলেছেন, বিএনপি আবারো সহিংসতার আশ্রয় নেবে এটা বিস্মিত হওয়ার মতো কিছু নয়। বিএনপি ও শহিদুল আলম কারো কর্মকান্ডই গ্রহণযোগ্য নয়।

কোনো রাজনৈতিক দল, একজন সেলিব্রেটি ফটোসাংবাদিক বা অন্য যেকাউকেই অন্য মানুষের ক্ষতি করতে দেয়া হবে না।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com