বাংলা৭১নিউজ,(হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হিলি বন্দর এখন বিপদজ্জনক শব্দদূষণের এলাকায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন মাইকে নানামুখি প্রচারের শব্দে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মাইকের যন্ত্রনায় হিলি বন্দরের মানুষ অতিষ্ঠ। বিষয়টি এখন এলাকাবাসীর কাছে অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। যানবাহনে কখনো একটি মাইক বেঁধে আবার কখানো দুটি মাইক বেঁধে উচ্চ শব্দে প্রচারণায় দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে মাইকিং করতে এখন আর দরকার পড়েনা ঘোষকের। ঘোষনাটি একবার রেকর্ড করে মোবাইলের মেমরী কার্ডে নিয়ে যানবাহনে মাইক বেঁধে চলতে থাকে বিরতিহীন ঘোষণা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গরু-মহিষ জবাই, ছাগল হারানো, কোচিংয়ে ভর্তি, বিদ্যালয়ে ভর্তি, বে-সরকারি ক্লিনিক- ডায়গনিস্টিক সেন্টার, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, কোন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ছাড়, মোবাইলের সীমাকার্ড মেলাসহ বিভিন্ন ধরণের প্রচারের ক্ষেত্রে উচ্চ শব্দে মাইকিং করা হয়। এছাড়াও কমদামে এলইডি বাল্ব বেচার প্রচারে উচ্চ শব্দে মাইকিং চলছে নিয়মিত। এতে কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে কানে আঙ্গুল দিয়ে পথ চলেন। এতো গেল মাইকের যন্ত্রণা এছাড়াও রয়েছে যেখানে সেখানে রাস্তার ওপর হোন্ডা গ্যারেজ, কাঠ ও স্টিলের আসবাব পত্র তৈরীতে ব্যবহৃত যন্ত্রের বিকট শব্দ।
এর ওপর রয়েছে যত্রতত্র গান লোডের দোকানের সাউন্ড বক্সের শব্দ। আর ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা গাড়ির হর্ণত রয়েছেই। সেই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার।
হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেসব স্থানে মাইক বন্ধ রাখার নিয়ম রয়েছে, তাও মানছেনা কেউ।
হিলি স্থলবন্দর এলাকার মুদিদোকানি এনামূল হক বলেন, প্রতিদিন মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। এরা স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, সরকারি অফিস কিছুই মানেনা। আশা করছি, এমন নির্যাতন থেকে এলাকাবাসীকে মুক্ত করতে প্রশাসন দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌহিদ আল-হাসান জানান, অতিরিক্ত শব্দ দূষণ শিশুসহ সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত শব্দ মস্তিষ্কে বিক্তীর কারণ ঘটে। ফলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়, কর্মক্ষতা কমে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কাজ কর্মে মন বসেনা।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আব্দুর রাফেউল আলম বলেন, শব্দ দুষণ অবশ্যই একটি বড় ধরণের সমস্যা। শব্দ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থ নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি