বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অধিক শব্দ সৃষ্টি করে শব্দদূষণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত পাঁচ বছরে ১০৩টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ লাখ টাকা ছাড়া পুরো টাকাই আদায় হয়েছে।
আজ জাতীয় সংসদে জাসদের লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ কথা বলেন।
সংসদে তিনি বলেন, আইন ও বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত মানমাত্রার অধিক শব্দ সৃষ্টি করে শব্দদূষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ১০৩টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, গত পাঁচ বছরে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ এবং পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ গাড়ি থেকে মানমাত্রা অতিক্রমকারী হর্ন খুলে নেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আগে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯–এর আওতায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালাটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না; বিধায় এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ ছিল না। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার বিধিমালাটিকে মাঠপর্যায়ে প্রয়োগের সুবিধার্থে মোবাইল কোর্ট আইনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফলে এখন থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমেও এ বিধিমালার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এরপর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস