বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ‘প্রবাসীদের সমস্যা আমার জানা, সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন পারভীন ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

শবে বরাত ও রমজানের মজুদ পুড়ে ছাই

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আগামী ২১ এপ্রিল শবে বরাত। এর ১৫ দিন পরই রমজান মাস শুরু। এই দুই উপলক্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারকে সামনে রেখে মালিবাগ রেলগেট কাঁচাবাজারের প্রায় সব দোকানেই মজুদ ছিল পর্যাপ্ত খাদ্যপণ্যের। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে চোখে পড়ে হতাশ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকার চিত্র।

কেউ দোকানের বাইরে বসে কাঁদছেন, কেউ পুড়ে যাওয়া মালামাল নিয়ে বসে আছেন, কেউ আবার পোড়া মালের ধ্বংসস্তূপ থেকে ভাল মালামাল খুঁজে বের করছেন।

আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানের পাশে বড় ভাইকে জড়িয়ে কাঁদছে গরম মসলা ব্যবসায়ী মালেক। তিনি জানান, শুক্রবার ও শবেবরাত উপলক্ষে তার দোকানে মাল বেশি ছিল। আড়াই থেকে ৩ লাখের কম হবে না। আগুনে গরম মসলাতো পুড়েছেই, এছাড়া দোকানের সাটার, কাঠের থাক এবং ক্যাশবাক্সও পুড়ে গেছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছেন তিনি।

fire

চাল ব্যবসায়ী মো. মামুন বলেন, আমার দোকানে ২৫ লাখ টাকার চাল ছিল। এর মধ্যে ৪০-৪৫ বস্তা চাল বাঁচাতে পেরেছি। এগুলোর অধিকাংশই আবার পানিতে ভিজে গেছে।

fire

কাঁচাবাজারের ৪টি মুদির দোকানের মালিক নাদিম আলী। আগুনে তার ৩টি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, এই বাজার মধ্যবিত্তদের অনেক পছন্দের ছিল। বাড্ডা-রামপুরা থেকেও অনেকে এখানে এসে বাজার করত। রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, এই আশঙ্কায় গত ৩-৪ বছর ধরে ক্রেতারা আগেভাগেই রোজার কেনাকাটা করেন। তাই সবাই অনেক মাল মজুত করেছিল। আমাদের সবই পুড়ে গেল। সরকার ঋণ প্রদান বা সাহায্য না করলে আমাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা সারাবছর রমজান মাসে ব্যবসা করার অপেক্ষায় থাকি। এই আগুন আমাদের জন্য অভিশাপ।

 

কাঁচাবাজারের একটু ভেতরে (কথিত কসাইপট্টি) মৃত ছাগলদের সামনে রেখে কাঁদছিলেন আমজাদ হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার বেশি মাল থাকে কারণ শুক্রবারে বেশিরভাগ মানুষ বাজার করে। বুধবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে দেড়লাখ টাকার ১৮টি ছাগল এনে রেখেছিলাম। সকালে জবাই করার কথা ছিল। কিন্তু এসে দেখি সবগুলো পুড়ে গেছে। একদিনেই আমার অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে গেল।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট পরে পর্যায়ক্রমে ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

fire

আগুনে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা না গেলেও বড় ছোট মিলে প্রায় তিন শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান ছিল বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকানই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এইচ.এস.বি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com