বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বুধবার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন দুই মহিলা। আর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত কেরালা। এদিন দিনভর রাজ্যজুড়ে বন্ধ ডেকেছে দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি। আর তা নিয়েই উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। তবে কোনওভাবেই এই বন্ধকে হালকাভাবে নিচ্ছে না প্রশাসন। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তৈরি রয়েছে কেরালা সরকার। এই কারণে সব জায়গায় আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কেরালা, মহাত্মা গান্ধী, কান্নুড় এবং কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করেছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির মতে, তারা এই বন্ধ পালন করবেন না। রাজ্যজুড়ে স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখার দাবি জানিয়েছে তারা। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বন্ধ সমর্থকরা। জাতীয় সড়কে অবরোধে নেমেছেন তাঁরা। বেশ কিছু জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর এসেছে। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকান–পাট। কোঝিকোড়ে বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বেশিরভাগ জায়গাতেই শুনসান সড়ক। কিছু জায়গায় যাত্রী পরিবহণের জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি–র পক্ষ থেকে এই বন্ধকে সমর্থন জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ‘কালো দিবস’ পালনেরও ডাক দিয়েছে। শুধু কেরালা নয়, তামিলনাড়ুতেও দেখা গিয়েছে বিক্ষোভের আঁচ। সেখানে কেরালা সরকারের একটি হোটেলে বুধবার রাতে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় সেখানে। এদিকে, বুধবার ভোরে চিরাচরিত প্রথা ভেঙে সবরীমালা মন্দিরে ঢোকেন দুই মহিলা। তাঁদের দু’জনেরই বয়স ছিল ৫০-এর নিচে। প্রার্থনা সেরে দিনের আলো ফোটার আগেই চলে যান তাঁরা। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল পুলিশকর্মী।
কিন্তু ঘটনার পর পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুদ্ধিকরণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। একঘণ্টা পর ফের দরজা খোলা হয়। ততক্ষণ কোনও ভক্ত মন্দিরে ঢুকতে না পারার জন্যও সমস্যা তৈরি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পান্ডালাম এলাকায় বিজেপি ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
তাতে চন্দ্রাণু উন্নিথন নামে ৫৫ বছরের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তিনি সবরীমালা কর্মসমিতির সদস্য। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। বুধবার শেষরাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: আজকাল/এবি