বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনিকা কবীর শখের বিরুদ্ধে। নির্মাতা তপু খানের ঈদের একটি নাটকে কাজ করার ডেট দিয়েছিলেন শখ। তারই ধারাবাহিকতায় শুটিংয়ের সব কিছু ঠিকঠাক করেন নির্মাতা। কিন্তু শুটিংয়ের আগের দিন মাঝ রাতে শুটিংয়ে অংশ নিতে শখ অপারগতা প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ করেন এ নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা তপু খান বলেন, ‘শুটিংয়ের একমাস আগে শখের ডেট নিয়েছি। দশদিন আগে স্ক্রিপ্ট দিয়েছি। আমার এ নাটকে ১১-১২ জুন শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ের আগের দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে ফোন দিয়ে বলেন- দুইদিন শুটিং করতে পারছি না। একদিনে নাটকের শুটিং শেষ করতে হবে। কিন্তু একদিনে একটি নাটকের শুটিং শেষ করা সম্ভব? তাও না হয় করা যেত যদি আগের নির্ধারিত ডেটে হতো।’
এ ছাড়া নির্মাতা আরো অভিযোগ করেন, অন্য সেট এবং বড় শিল্পীদের সাথে শখের কাজ পড়ে যাওয়ায় এ কাজটি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন শখ। এ প্রসঙ্গে তপু বলেন, ‘এই বড় শিল্পীরা কি শখের এই কর্মকে ভালোভাবে নিবেন। শখ হয়ত বড় পরিচালক ও শিল্পীদের সাথে কাজ করছেন কিন্তু আমাকে আমার সেটের শিল্পীকে অবহেলা করার রাইট ওনার নেই। তা হলে প্রশ্ন উঠে শখ আপনি কেমন শিল্পী?’
গত ১০ জুন দুপুর পর্যন্ত মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে পূর্ব নির্ধারিত ডেটের কথা নিশ্চিত করে শখ কোনো দুশচিন্তা করতে মানা করেন নির্মাতা তপুকে। কিন্তু রাতের বেলায় তার অপেশাদার শিল্পীর মতো আচরণে অবাক হয়েছেন নির্মাতা। তারপর কোনা উপায় না দেখে এ নাটকের অভিনয়শিল্পী রিয়াজকে শুটিংয়ের তারিখ পরিবর্তনের কথা জানান নির্মাতা তপু। এতে তার অর্থনৈতিক ক্ষতি যেমন হয়েছে, তেমনি সম্মানহানি হয়েছে বলেও জানান নির্মাতা।
শুটিং প্যাকাপ হয়েছে তাতে শখের কিছু যায় আসে না। কিন্তু লাইটের ছেলে, প্রোডাকাশনের ছেলে, ক্যামেরাম্যান, মেকাপ, হাউজ তাদের কথা শখ একবারও ভাবেননি। মানুষ যখন সেলিব্রেটি হয় তখন তার দায়িত্ব বেড়ে যায়। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর শিডিউলের সাথে কমপক্ষে ৩০ জন মানুষের কর্মচাকা ঘুরে। শখ তা একবার ভেবে দেখেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এই নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা তপু আরো বলেন, ‘পেশাদার শিল্পীদের কাছ থেকে এমন আচরণ সত্যি দুঃখজনক। এর আগেও আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অন্য শিল্পীরা এমন ঘটনা ঘটালেও তার বিরুদ্ধে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তা হলে হয়তো আজকে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা এমন অপেশাদার আচরণ করতেন না। এ নিয়ে শিল্পী, নির্মাতা গিল্টসহ সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীকাল এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব।’
এ বিষয়ে আনিকা কবীর শখের মোবাইল ফোনে একাধিকভার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শখের শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগে একাধিকবার এমন অভিযোগ উঠেছে এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে এনটিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক পরিবার পরিকল্পনার শুটিংয়ে অংশ নেয়ার কথা থাকলেও শুটিংয়ে তার দেখা মেলেনি। পরিচালকের ফোনও রিসিভ করেননি তিনি। পরে খবর নিয়ে জানা যায় শখ অন্য একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করছেন আরেক ইউনিটে। এর আগে পরিচালক রেদওয়ান রনি পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক এফএনএফের সময় শিডিউল নিয়ে ঝামেলা করেছিলেন শখ। তারপর রনি সিদ্ধান্ত নেন শখকে আর কোনো নাটকে নেবেন না। এরপর দীর্ঘ ৩ বছর শখকে নিয়ে কোনো কাজ করেননি রনি।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস