যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই এবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরানের এলিট ফোর্স বিপ্লবী গাার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ভারত মহাসাগরে এ পরীক্ষা চালানো হয়।
ইরানের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, স্থল ও সমুদ্রে নির্দিষ্ট বস্তুতে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি চতুর্থবারের বড় সামরিক মহড়া।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূর থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে তা ধ্বংস করতে সক্ষম। ইরানের মধ্যাঞ্চল থেকে ছোড়ার পর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থানরত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে শত্রুর বিমানবাহী রণতরীসহ বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
‘বর্তমানে সাগরে যুদ্ধের প্রচলিত কৌশলটি হলো কম গতিসম্পন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চলমান লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করা। কিন্তু আমরা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও সাগরে শত্রুর চলমান নৌযান ধ্বংসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি, এমনটাই জানান তিনি আইআরজিসির প্রধান।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারও ওমান উপসাগরে সামরিক মহড়া চালায় নৌবাহিনী। অপরদিকে সেনাবাহিনীর ড্রোন মহড়া চালানো হয়েছে ৫ ও ৬ জানুয়ারি।
ধারাবাহিক মহড়া ও নতুন নতুন সামরিক সরঞ্জাম সফল পরীক্ষা চালানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে ইরান।
বাংলা৭১নিউজ/সর