বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের ‘অতর্কিত হামলায়’ ১৪ নিরাপত্তা সদস্য নিহত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম

লোডশেডিং নিয়ে জুলাইয়ের আগে সুখবর নেই

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

তীব্র গরমের পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারা দেশের জনজীবন। রাজধানী ঢাকাতেই দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। গরমে মানুষের কষ্টের পাশাপাশি শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে কবে উত্তরণ ঘেটবে তার সুনির্দিষ্ট আভাস নেই। তবে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যে পরিষ্কার, এই জুন মাসে অন্তত নিস্তার নেই লোডশেডিংয়ের আপদ থেকে।

রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য মতে, ৬ জুন দুপুর ১২টায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। বিপরীতে উৎপাদন করা হয়েছে ১২ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট। লোডশেড করা হয়েছে মোট ২৬১০ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। 

পিজিসিবি ও পিডিবি দুই সংস্থার তথ্য মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদার তথ্য পাওয়া গেলেও বাস্তবে চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্র। অর্থাৎ বাস্তবে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি। 

চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি সামলাতে সম্প্রতি বৈঠক করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংকট মেটাতে দেশি-বিদেশি কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ কেনা হবে। বর্তমানে ভারতের আদানি গ্রুপ ৭৫০ থেকে ৯৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। এখন সরকার আদানির কাছ থেকে ১০৫০ মেগাওয়াট নিতে চাইছে। রামপাল কেন্দ্র এখন ৩২০ থেকে ৩৭০ মেগাওয়াট দিচ্ছে। তা বাড়িয়ে ৬১২ মেগাওয়াট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়া ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, টঙ্গী, ভেড়ামারা, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন প্লান্টে ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বাড়িয়ে ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের জন্য বর্তমানে দৈনিক ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে পেট্রোবাংলা। এর পরিমাণ বাড়াতে গেলে শিল্পে সরবরাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

গ্যাস, কয়লা ছাড়াও ফার্নেস তেলভিত্তিক বিভিন্ন কেন্দ্রের উৎপাদন বৃদ্ধির কথাও ভাবছে সরকার। ইতোমধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে আবারও উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। 

উৎপাদন ক্ষমতার ৪৫ শতাংশ অব্যবহৃত
এদিকে দেশজুড়ে লাগামছাড়া লোডশেডিং চললেও দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৪৫ শতাংশ এখনও অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। বর্তমানে আমদানিসহ চালু থাকা ১৪৯টি কেন্দ্রের দৈনিক বিদ্যুত উৎপাদনের সক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রয়েছে চারটি কেন্দ্র, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০৯ মেগাওয়াট।

কবে কাটবে লোডশেডিং?
পিডিবিসহ খাত সংশ্লিষ্টরা লোডশেডিংয়ের মূল কারণ হিসেবে উপস্থাপন করছেন ডলার সংকটের কারণে কয়লা সংকট ও তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধিকে। কয়লা সংকটে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটো ইউনিট ২৫ মে ও ৫ জুন বন্ধ হয়ে যায়। ইউনিট দুটো চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা সংস্থানের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। তবে সে কয়লা এসে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে সময় লাগবে ২৫ দিন। সেক্ষেত্রে জুন মাস জুড়েই লোডশেডিং বজায় থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী  বলেন, আমাদের এখন কিছু ঘাটতি আছে, ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।  

ধৈর্য ধরার আহ্বান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর  
চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে জাতীয় সংসদেও। গতকাল (মঙ্গলবার) বিদ্যুৎ, জ্বালারি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বলেছেন, আমরা মনে করি ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আপনারা সকলে একটু ধৈর্য ধরুন। বিশ্বের দিকে ও নিজের দেশের দিকে তাকিয়ে যদি আমরা ধৈর্য ধরি, তাহলে যে সমস্যাটা দেখতে পাচ্ছি সেটা পার হতে পারব। 

তিনি বলেন, বর্তমানে দিনের বেলায় ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারি। পিক আওয়ারে সন্ধ্যা বেলায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে।

আরেক সংসদ সদস্য বলছেন আমরা প্রচার করছি না। কিন্তু আমি বারবার আসছি, প্রচার করছি। ওয়েবসাইটে দিয়েছি, বিজ্ঞাপন প্রচার করছি। আমরা কষ্টটা সকলের সঙ্গে ভাগ করতে চেয়েছি। সকলকে জানিয়েছি কোথায়, কীভাবে হবে এবং মিডিয়াতে বলা হয়েছে বারবার। লোডশেডটা বেশিদিন থাকবে না। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com