প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের ওপর জোর দিয়েছেন।
বুধবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
এদিন বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান লোটে শেরিং। পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক শুরু করেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি।
পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের নৌপথের সুবিধা কাজে লাগানোর বিষয়েও তারা একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৫০ মিনিট একান্তে আলাপ করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং তার দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে এককালীন ফুলটার্ম ভিসা এবং মাল্টিপল এন্ট্রি সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সঙ্গে একমত পোষণ করে সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বলে ইহসানুল করিম জানান।
প্রেস সচিব জানান, সহযোগিতার ভিত্তিতে ভুটানে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন।
শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করে বাংলাদেশ। এটাই কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম পিটিএ চুক্তি।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহীদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিঞ্চেন কুয়েন্সি এবং ভুটানের চিফ প্রটোকল অফিসার দাসো উগিয়েন গংফেল।
স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তী ও ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন ভুটানোর প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরসূচি অনুযায়ী, আজ বিকাল আড়াইটায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চাংয়ের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। তারপর তিনি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসক মো. মামুন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
বিকাল ৪টায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে যাবেন। সেখানে তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
বিকাল ৫টার দিকে লোটে শেরিং জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
তিন দিনের এ সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ভুটানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে