ঈদের পর টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৮ জুলাই) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩০ পয়েন্টের ওপরে। আর লেনদেনে হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার কম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমেছে। একই সঙ্গে মূল্য সূচক ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট কমে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের পতনের মাত্রা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইতে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৫টির। আর ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪৭পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১২৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ