ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে একদল বিক্ষোভকারী। তারা আজ শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছে। লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, “মুশতাক কীভাবে মারা গেছেন তাঁর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে তিনি রাষ্ট্রের হেফাজতে ছিলেন, তাঁর দায়িত্ব নিয়েছিলো সরকার – এই মৃত্যুর দায়- হত্যার দায় সরকারের…।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক লিখেছেন, “মুশতাক জেলে মারা গেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিলো। তার অপরাধ ছিলো লেখালেখি করা, অন্য কিছু নয়।”
২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পুলিশ জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং লেখক মুশতাক আহমেদকে ঢাকার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, জাতির জনকের প্রতিকৃতি, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
মুশতাক আহমেদ ‘কুমির চাষের ডায়েরি’ নামে বইয়ের লেখক, তিনি “মাইকেল কুমির ঠাকুর” নামে একটি ফেসবুক পাতাও পরিচালনা করতেন, যাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্যও উঠে আসতো।
তিনি বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষ শুরু করেছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি