বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের আরো বেশি সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচির রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি ।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের লুটপাটের আরো বেশি সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।আসলে জনগণের প্রতি ভোটারবিহীন সরকারের দায়বদ্ধতা নেই বলেই জনগণকে নিষ্পেষণ ও অপমান করতে এই দাম বৃদ্ধি। বর্তমান সরকার একের পর এক জনবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও কমার কথা।
কিন্তু বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো নজিরবিহীন এবং গণবিরোধী। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানি (ফার্নেস) তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হলে খরচ আরো কমানো যেতো।
রিজভী বলেন, বিশ্ববাজারে তেলেন দাম কমলেও জনগণের রক্ত চুষে খেতে আবারও বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম যা আগামী মাস থেকেই কার্যকর হবে। যেখানে বিদ্যুতের দাম কমানোর কথা, সেখানে পূর্বের তুলনায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসায় এখন বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে বাড়বে ৩৫ পয়সা।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজারসহ সমস্ত অর্থনৈতিক খাতকে তিলে তিলে খেয়ে তাদের (সরকার) স্বাদ মেটেনি। তাই বারবার গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে গরিবের রক্ত পান করাটাই যেন তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এর আগে গত মার্চে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এর আগে ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় বছরে পাইকারি পর্যায়ে ছয়বার এবং খুচরা পর্যায়ে সাতবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র লুটপাটের জন্যই গরিবের সর্বশেষ সম্বলটুকু আত্মসাৎ করে সরকার আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস