বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: একেবারেই সাদামাটা মাটির মানুষ বলতে যা বুঝায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ঠিক তাই। রাষ্ট্রপতি পদে দ্বিতীয় দফা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর শুক্রবার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীতা ফরম সংগ্রহ করে তা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে বঙ্গভবনে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
বেলা ১১টার পর নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আ স ম ফিরোজ। সেখান থেকে সরাসরি তিনি যান বঙ্গভবনে। এ সময় রাষ্ট্রপতি বিশ্রামে ছিলেন। ছিলেন লুঙ্গি পরা অবস্থায়। গায়ে ছিল চাদর। সে পোশাকেই তিনি চলে আসেন অতিথিদের কাছে। গ্রহণ করেন মনোনয়ন ফরম।
এই তিনিই হচ্ছেন বাঙ্গালীর প্রাণের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আবদুল হামিদকে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নসংক্রান্ত বোর্ডের সিদ্ধান্তপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রাত ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি তাকে স্বাগত জানান।
আর বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় আবদুল হামিদকে দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়াট্ এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন। ফলে এবার নির্বাচিত হলে এটাই হবে আবদুল হামিদের শেষ মেয়াদ।
পাঁচ বছর আগে দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন ৭৪ বছর বয়সী আবদুল হামিদ।
প্রায় ছয় দশকের রাজনৈতিক জীবনে সাতবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তফসিল অনুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি