আমলকি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত। আমাদের শরীর ও মনকে চাঙা করতে এর বিশেষ গুণ রয়েছে। ওষুধি গুণসম্পন্ন ছোট ফলটি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। একটি কমলার চেয়েও বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি আছে আমলকিতে।
এ ছাড়াও আছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যসমূহ। এতে থাকা পুষ্টিগুণ ওজন কমায়, পেটের বিভিন্ন সমস্যাসহ হজমশক্তি উন্নত করে।
লিভারের জন্য আমলকি বিশেষ উপকারী। অনেকেই এখন ফ্যাটি লিভারসহ যকৃতের নানা ব্যাধিতে ভুগে থাকেন। তাদের জন্য আমলকি কার্যকরী এক দাওয়াই। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকি শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। যকৃতের কার্যক্ষমতা আরও উন্নত করে।
‘ফুড অ্যান্ড ফাংশন’ নামক এক জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষার তথ্যমতে, আমলকি হাইপারলিপিডেমিয়া (অত্যাধিক চর্বি) কমাতে সহায়তা করে। এটি ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করে।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, আমলকি লিভার ফাইব্রোসিস রোধ করতে পারে। তবে আমলকি কীভাবে খাবেন? এজন্য রইল ৫টি রেসিপি-
আমলকি রস: আমলকি খাওয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এক পদ্ধতি এটি। সকালে খালি পেটে এ রস পান করে দিন শুরু করতে পারেন। এজন্য আমলকি কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এর সঙ্গে হালকা কুসুম গরম পানি মিশিয়ে পান করুন।
আমলকির চা: চা ছাড়া অনেকেরই দিন শুরু হয় না। এজন্য রাখতে পারেন স্বাস্থ্যকর আমলকির চা। কিছু মশলার সঙ্গে আমলকির টুকরো মিশিয়ে পানিতে ফুটিয়ে তৈরি করুন এ চা। সঙ্গে চাইলে গ্রিন টিও যোগ করতে পারেন।
আমলকির চাটনি: আমলকি টুকরো করে কেটে লবণ, মরিচ, ধনিয়া পাতা ও সামান্য চাট মশলা মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন চাটনি। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু।
আমলকির চিপস: আমলকি পাতলা করে কেটে রোদে শুকিয়ে পরে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন। এই চিপস সঙ্গে রাখলে যেকোনো সময় মুখশুদ্ধি হিসেবে খেতে পারেন।
আমলকির আচার: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেলার খাবারের সঙ্গে অল্প হলেও আমলকির আচার রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই চিনি দিয়ে আচার তৈরি করা যাবে না। অলিভ অয়েল ও অন্যান্য মশলা দিয়ে তৈরি করতে পারেন আমলকির আচার।
বাংলা৭১নিউজ/পিকে