বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বৈধ ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট থাকলেও লিবিয়ার বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে কোনও বাংলাদেশি সে দেশে যেতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে ১০ শতাংশ সুদসহ টাকা ফেরত দিতে এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি উপেক্ষা করে গত ২২ এপ্রিল ৭৪ বাংলাদেশি নিজ দায়িত্বে লিবিয়া যেতে উচ্চ আদালতে আবেদন জানান। পরে আদালত তাঁদের ছাড়পত্র দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। এরপর উচ্চ আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরই প্রেক্ষিতে আজ সকালে শুনানি শেষে লিবিয়ায় বিদ্যমান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৈধতা ও ওয়ার্ক পারমিট থাকলেও কোনও বাংলাদেশির লিবিয়ার না যাওয়ার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশিদের লিবিয়া যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে, লিবিয়ায় চার বছরের সংঘাত ও বিবদমান দুই সরকারের মধ্যে সমঝোতার পর গত মাসের শুরুর দিকে ত্রিপলিতে কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত মতৈক্যের সরকার।
বর্তমানে দেশটিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা বিরাজ করলেও আইএসের হুমকি রয়েছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ধীরে ধীরে দেশটিতে নিরাপত্তা-পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। তিউনিসিয়ার সঙ্গে দেশটির উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে আইএসের আধিপত্য থাকায় সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে লিবিয়া। তারপরও প্রায়ই দেশটিতে আইএসের হামলার ঘটনা ঘটে।
২০১১ সালে লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাজধানী ত্রিপলি ও পূর্বাঞ্চল তোবরুকে দু’টি বিবদমান সরকার শাসন করতে থাকে। এ বছরের শুরুতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই সরকারের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ঐক্যের সরকার বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস