বাংলা৭১নিউজ, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুশফিকুর রহমান (১৯) খুন হয়েছেন। জেলার আদিতমারী উপজেলা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ত্রিমৌহনী সেতু বাজার এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মুশফিক লালমনিরহাট সরকারি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক। তিনি জেলার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফিরোজ কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে মুশফিককে হত্যা করেছে। তবে কী কারণে ছাত্রলীগের এই নেতাকে খুন করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহ দুই যুবককে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা হলেন- রুবেল (২০) ও রাহী (২১)। এলাকাবাসী ওই যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রাতে একটি মোটরসাইকেল যোগে মুশফিকসহ তিন যুবক আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ত্রিমৌহনী সেতু বাজার এলাকায় এসে ঘোরাঘুরি করছিল। একপর্যায়ে মুশফিকের আর্ত চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দীপঙ্কর রায় রাতে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মুশফিককে রাত ১০.৪৫ মিনিটে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বুকে ও পেটে জখম রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এএস