রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী একদল কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: মেয়র তাপস গবেষকদের দাবি: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনের টিকায় কানে নজর কাড়লেন কিয়ারা ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং লোন নিয়ে রিকশা কিনছি, এখন কিস্তি দেবো কি করে ট্রাম্পের মস্তিষ্ক বিকৃত, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বাইডেন মেসির ফেরার ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয় মিয়ামির ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয় সৌদি গেলেন ২৮৭৬০ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু ভিসা ছাড়াই রাশিয়ায় যেতে পারবেন ভারতীয়রা, চুক্তি চলতি বছরই

লাঠি নিয়ে নৌকা প্রার্থীর শোডাউন-মিছিল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততোই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা। রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ওমেদপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লা প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলে সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করেন।

এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের বড় বাঁশের লাঠি বহন করতে দেখা যায়। শোডাউন শেষে সমর্থকরা লাঠি হাতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে রাস্তায়ও মিছিল করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলেও ও তার ছেলে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা বলেন, শোডাউন না, তবে আজ স্থানীয় রয়েড়ার হাটবার ছিল। সেখানে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন আমার বাবা। তবে কর্মীদের লাঠিবহন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে স্বীকার করেন তিনি।

jagonews24

এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম  বলেন, অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে বিষয়টি স্পষ্ট নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. আ. ছালেক। তিনি  বলেন, আমি মাত্র শুনলাম, এখনই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলছি।

২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পঞ্চম ধাপে জেলার শৈলকুপায় ১২ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। সর্বশেষ রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলার উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামে দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এর আগে শনিবার দিনগত রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দীনের মালিতার চন্ডিপুর বাজারের অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে তিনি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অভিযুক্ত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।

jagonews24

যদিও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আতিকুল হাসান মাসুম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিপক্ষ নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।

এছাড়া ১০ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সাধুহাটি ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী নাজির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়।

৭ ডিসেম্বর বিকেলে জেলার শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়।

এদিন বিকেলে আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে ঝিনাইদহ থেকে কাতলাগাড়ী বাজারে পৌঁছালে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার আলী কাইসার টিপুর সমর্থকরা হামলা চালান। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চড় থাপ্পড়ের মতো ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কয়েক স্থানে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত চলছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com