বাংলা৭১নিউজ, হিলি প্রতিনিধি: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেয়া ১৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে গেলো অর্থ বছরে আরও ৯ কোটি টাকা রাজস্ব বেশী আয় করেছে হিলি কাষ্টমস কতৃপক্ষ। তবে অধিক শুল্ক যুক্ত পন্যের আমদানি বাড়লে এবং বন্দরটির রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হলে রাজস্ব আয় দ্বী-গুন বেড়ে যাবে এমনটি আশা করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
ভারতের সকল অঞ্চলের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ভালো থাকায় চাহিদার অধিকাংশ পণ্যই আমদানি হয়ে থাকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আর এ কারনে ১৯৮৬ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বন্দরটির বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য বড় গুরুত্ববহন করে আসছে। তবে এ বন্দর দিয়ে এখন পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, খৈইল, ভুষি, ভুট্টা, চাল, পাথর এ সব পন্য আমদানি হচ্ছে যার অধিকাংশ পণ্যই শুল্ক মুক্ত। যার ফলে আমদানি খাত থেকে রাজস্ব আয় অনেকাংশে কমে গেছে। তবে অধিক শুল্ক যুক্ত পন্য কাঁচা ফল, কাঁচা মাছ, পেপার সামগ্রী, মটরপাটস, সিনেটারি-ইমিটেশন-ষ্টিল সামগ্রী, সমেটিকস সামগ্রী সহ অণ্যান্য পন্য আমদানিতে কাষ্টমস সহযোগিতা করলে এই বন্দর দিয়ে আরও ৩ গুন রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক গ্রুপ সভাপতি, হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, কাষ্টমসের সদইচ্ছার কারনে কাঁচা ফল, কাঁচা মাছ, পেপার সামগ্রী সহ অধিক শুল্কযুক্ত পন্য আমদানি হচ্ছেনা এই বন্দর দিয়ে। ফলে বন্দর ছাড়ছেন আমদানিকারকেরা।
গেলো (২০১৭-১৮) অর্থ বছরে ১৯০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে ১৯৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে হিলি কাষ্টমস কতৃপক্ষ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ কোটি টাকা বেশী।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস