বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসে দুইজনের নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ভোলার তজুমদ্দিনে গাছচাপায় এক শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে শতাধিক। ঝড়ো হাওয়ায় ভোরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঝড়ে একজন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে চট্টগ্রামে সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রামবন্দরের পণ্য উঠানামাসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার দুপুর নাগাত চট্টগ্রাম অতিক্রম করতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৬২ কিলোমিটার বেগে বইছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের সময় তিন থেকে চার ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
বরিশাল: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরিশালেও সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় একশ’ ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নগরীর সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী নিচু এলাকা ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। রোয়ানু’র আশঙ্কায় বরিশাল নৌবন্দর থেকে সকল রুটে ছোট বড় লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
বাগেরহাট: বাগেরহাটেও রোয়ানুর প্রভাবে বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাতে শহরের অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা ট্রলারগুলো উপকূলের বিভিন্ন নদনদীতে অবস্থান নিয়েছে।
পটুয়াখালী: এদিকে পটুয়াখীতে ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় একজন নিহত এবং অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ৬ ঘণ্টায় ১শ’ ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস