বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকর করতে ভারতের পাশাপাশি ওআইসিভূক্ত মুসলিম দেশগুলোর অব্যাহত সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশে। ভারত সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী গত দুই দিনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি নয়াদিল্লিস্থ ইসলামিক দেশগুলির (অর্গানাজাইশেন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ) রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক নৈশাভোজে মিলিত হন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মুসলিম দেশগুলির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মাহমুদ আলী বলেছেন, জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
শরণার্থী পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুসলিম দেশগুলির বিপুল সহায়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকর করার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক শিবিরের চাপ বজায় রাখার উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকেও মাহমুদ আলী বিষয়টি উল্লেখ করে ভারতের সমর্থন চান।
এর উত্তরে সুষমা স্বরাজ ভারতের নিশ্চিত সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ভারত বাংলাদেশকে জানিয়েছে যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা রাখাইনে ফিরে গেলে তাদের থাকার জন্য বাসস্থান তৈরিতে ভারত সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করছে।
সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে মাহমুদ আলী বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেছেন।
রোহিঙ্গা সমস্যার পাশাপাশি গত অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে যে সব বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সেগুলির অগ্রগতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় অর্থে (সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার) বাংলাদেশে যে সব প্রকল্প রূপায়িত হবে তার ১৪টির ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই দুই দেশ অনুমোদন দিয়েছে বলে সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন। দুই মন্ত্রীই স্বীকার করেছেন যে, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কই হল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূলকথা। আর এক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে মানুষের যাতায়াত যেভাবে বেড়েছে তাতে দু পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস