কক্সবাজারের টেকনাফে পাঁচজন বাংলাদেশিকে অপহরণ করার পর দুজনকে আটকে রেখেছে সন্ত্রাসীরা। তিনজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, অপহরণকারীরা রোহিঙ্গা।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বিকেলে তা জানাজানি হয়।
অপহৃত হয়ে আটকে থাকা দুজন হলেন উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী গ্রামের মৃত উলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন (২৭)। পালিয়ে আসা তিনজন হলেন স্থানীয় শাহজাহান (৩৫), মেহেদী হাসান (১২) ও আবু বকর (৪০)।
মরিচ্যাঘোনা এলাকার শসাক্ষেত থেকে তাঁদের অপহরণ করে স্থানীয় পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় লোকজনের তথ্য মতে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় ক্ষেতে কাজ করতে যান পাঁচজন কৃষক। হঠাৎ পাহাড়ের দিক থেকে ১০-১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এসে তাঁদের অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। এরপর সন্ত্রাসীরা অপহৃত প্রত্যেকের পরিবার থেকে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা করে দাবি করে তারা। পরে তাদের খপ্পর থেকে শাহজাহান, আবু বকর ও মেহেদী হাসান পালিয়ে ফিরে আসেন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরিচ্যাঘোনা থেকে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার নজির আহমদ ও তাঁর ছেলে সাদ্দাম হোসেন এবং একই এলাকার মো. শাহজাহান, আবু বকর ও মেহেদীকে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে শাহজাহান, আবু বকর ও মেহেদী পালিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। তবে শাহজাহানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পালানোর সময় তাঁকে গুলি করা হয়। ’
টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পাঁচজনকে অপহরণ করার কথা শুনেছি। তিনজন ফিরে এসেছেন। অপহরণের ঘটনায় কারা জড়িত, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ