বাংলা৭১নিউজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমার সৈন্যদের হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন লোমহর্ষক নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে রোহিঙ্গাদের সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা লিসা কার্টিস। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি ব্রিফিংকালে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। পাশাপাশি কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন চেয়ে তিনি বলেন, নির্যাতিত এসব রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার জন্য বিশ্বে এখনও অনেক লোক আছে। লিসা কার্টিস বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে চলমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বালুখালী টিএন্ডটি রিলে কেন্দ্র এলাকায় স্থাপিত ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিনিধিদল এসব কথা বলেন। এ সময় বালুখালী ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম অফিস পরিদর্শন করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল টেকনাফের বাহারছড়া,শাপলাপুর আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম পরিচালিত স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, ২৫ আগস্টের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের খোঁজখবর এবং নির্যাতনের কথা শোনেন। পরে মিয়ানমার সেনা, বিজিপি ও উগ্রপন্থী রাখাইন যুবকের হাতে ধর্ষিত, নির্যাতিত, গুলিবিদ্ধ, স্বজনহারা বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী পুরুষের সঙ্গে একান্ত আলাপ করেন। আলাপকালে প্রতিনিধিদল জানতে চান, তাদের কী ধরনের অত্যাচার চালানো হয়েছে। প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের কথা শুনে অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
বার্নিকাট বলেন, আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারে সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে আমরা কাজ করছি। রোহিঙ্গারা যাতে শুধু মিয়ানমারেই নয়, নিজেদের গ্রামগুলোতে ফিরতে পারে সেজন্যও আমরা দেশটির সরকারের সঙ্গে কাজ করব। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকার কী করছে, আমরা তা-ও জানতে চাইব।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস