বাংলা৭১নিউজ,কক্সবাজার: বাংলাদেশে বাস করা রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত যেতে জোর করছে বলে একটি নেতিবাচক প্রচারণা রয়েছে। বাংলাদেশ কেন তাদের দেশ ছাড়তে জোর করবে? এই দেশই তো তাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রশ্নই আসে না।’
চলমান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার কূটনীতিকদের অবহিত করার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য রোহিঙ্গা শিবিরের প্রধানদের (মাঝি) ইউএনএইচসিআরের সহায়তায় সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাপান এবং সরকার এই বিষয়ে কাজ করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ‘মুলতবি’ করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে অস্বীকার করায় আজ এটা হয়নি, কিন্তু তা পরে হতে পারে।
তবে প্রত্যাবাসন কবে শুরু হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়নি। কারণ রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক নয়।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত করা হয়েছে, কারণ তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় না।’
আবুল কালাম আরো বলেন, ‘আমরা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম এবং অপেক্ষা করেছি, কিন্তু কেউ ফিরে যেতে রাজি হয়নি। রোহিঙ্গারা যখন রাজি হবে তখন এই প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এস এইস