রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ করা হয়েছে বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা

রোজার আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সাধারণত রোজার আগে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়। কিন্তু এবার রোজার বেশ আগেই গরুর মাংস ও ডালের দাম বেড়েছে। বাজার এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন থাকলে রমজানে গরু মাংসের দাম প্রতিকেজি ৫০০ টাকা হবে বলে আশঙ্কা করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

আজ শনিবার খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১৫ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫৫ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৫০ টাকায়।

আমদানি করা নেপালি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ডালে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আর প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

ডালের দাম কী কারণে বাড়ছে, এ সম্পর্কে ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ডালের দাম বাড়ার কারণে খুচরায় তার প্রভাব পড়েছে।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮০ টাকা। এর আগে খাসির মাংসের দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছেন, ‘রমজান মাসে সিটি করপোরেশন থেকে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু গত রমজানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এরপর থেকে মাংসের বাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। যে যার ইচ্ছেমতো মাংসের দাম নির্ধারণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এ অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা চলতে থাকলে রমজানে মাংসের প্রতিকেজি দাম ৫০০ টাকা হবে।’

মাংসের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারত থেকে গরু আনার সময় সীমান্তে ১ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। এখন তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্বের বছরগুলোতে রমজানের বেশ আগে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালেও এখন তা না করে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হওয়ার আগেই দাম বাড়িয়ে দেয়। অজুহাত হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে বাড়েনি। এগুলোর দাম অনেক আগেই বেড়েছে।’

বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পেয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকায়। যদিও আগের সপ্তাহে প্রতিহালি ডিম ২ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবার পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ)।

বাজারে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

এদিকে বাজারে বেশ কিছু কাঁচাপন্যের দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে সামান্য কমেছে। রাজধানীর স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ৩০-৩৫ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩০ টাকায়, গাজর ৩০-৩৫ টাকায়, শসা ৩০-৩৫ টাকায়, ঝিঙে ৩০-৩৫ টাকায়, চিচিঙ্গা ২৫-৩০ টাকায়, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকায়, ধুন্দল ৩০-৩৫ টাকায়, শালগম ৩০-৩৫ টাকায়, বরবটি ৩০-৩৫ টাকায়, কচুর ছড়ি ৩০-৩৫ টাকায়, লতি ৩০-৩৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকায়, টমেটো ৩০-৩৫ টাকায়, করলা ৩৫-৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ২৫-৩০ টাকায়, উচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়, পটল ২৫-৩০ টাকায়, শজনে ৬০ টাকায় এবং কাকরোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।

বাংলা৭১নিউজ/এস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com