বাংলা৭১নিউজ, কক্সবাজার ব্যুরো: কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসায় অবেহেলার অভিযোগ তুলে তিন ইন্টার্নি চিকিৎসককে রোগীর স্বজনদের মারধরে ঘটনায় চিকিৎসাধীন থাকা মাহমুদ হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর তাকে আটক করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
সূত্র জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলাতলিতে একটি বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে মাহমুদ হোসন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিড়ম্বনার অভিযোগে মাহমুদ হোসেনের স্বজনরা সদর হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক শেফায়েত হোসেন আরাফাতকে মারধর করেন। ওই সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আরেক ইন্টার্নি চিকিৎসক তাওহীদ ইবনে আলাউদ্দিন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, সদর হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাহমুদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে মাহমুদ হোসেনের স্ত্রী রেহানা আক্তার বলেন, ‘তার স্বামী গুরুতর জখম হয়ে সদর হাসপাতালে নিতে আসলে হাসপাতালের চিকিৎসরা চরম অবহেলা করেছেন।’
রেহানার দাবি, শরীরের জখম স্থানে জরুরি অপারেশন করতে বললেও চরম বিড়ম্বনা দেন ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। তবে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে আল ফুয়াদ হাসপাতালে চলে যান। এরপর কারা হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকদের উপর হামলা করেছেন তা তারা জানেন না বলেও জানান।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ৪ ঘণ্টা ধরে তালাবদ্ধ করে রাখে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একই সাথে বন্ধ করে দেয়া হয় হাসপাতালের সব ধরণের সেবা। হাসপাতালে অবরুদ্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহায় রোগী ও স্বজনেরা। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা এই মারাত্মক পরিস্থিতি শিকার হন রোগী ও স্বজনেরা। তবে বিকাল ৪টার পর হাসপাতালে ফটকের তালা খুলে দিলেও এখনো চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস