ভবিষ্যতে রেলের কোনো সিঙ্গেল লাইন থাকবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে সিঙ্গেল লাইন থেকে ডাবল লাইন ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। সে সময় আর নতুন করে অধিগ্রহণ করতে হবে না। উন্নয়নের জন্য রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, রাজনীতিবিদদের ডিঙিয়ে কোনো উন্নয়ন সম্ভব না।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্বার্থে কক্সবাজারে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারকে জমি দিচ্ছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থে এসব জমি নিচ্ছেন আর এর বিপরীতে দিচ্ছেন তিনগুণ ক্ষতিপূরণ।
তিনি আরও বলেন, এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল রেলপথ। অনেকে কথা দিয়ে কথা রাখেনি। কিন্তু শেখ হাসিনা আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনে মানুষের জন্য রেলপথ নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। মনে রাখতে হবে এটি শুধু কক্সবাজারের না পুরো দেশের সম্পদ।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আর মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হলেই ২০২২ সালের শেষ দিকে দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। রেল চালু হলে আন্তর্জাতিকভাবে আরও সমাদৃত হবে কক্সবাজার। এতে পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক চিত্র। স্বাবলম্বী হবে এ জেলার মানুষ।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আমিন আল পারভেজের সঞ্চালনা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের অধিগ্রহণ প্রায় ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর বাকি আছে ৩৫ শতাংশ। পর্যায়ক্রমে সবাইকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ২৮জন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে চকরিয়া পালাকাটা-মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার ২৭ জন ও কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মৌজার একজন চেক গ্রহণ করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে