বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রেলের জমিতে বালু ভরাট করে অবৈধভাবে পাকা স্থপনা নির্মাণ করা হচ্ছে আ.লীগ নেতা ও ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে। উপজেলার সাতৈর স্টেশনের উত্তর পাশে প্রায় এক একর কৃষি ও জলাশয় ভরাট করে এ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পূবিলা গ্রাম নিবাসী মো. ফারুক হোসেন এবং পাইকহাটি গ্রামের রবীন্দ্র নাথ সাহা, ইউপি সদস্য মো. খলিলুর রহমান, মো. শুকুর মল্লিক, মো. বিল্লাল মিয়া একজোট হয়ে ওই জমি অবৈধভাবে ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জেএল নং ১২৫/১৩ ১ নং ঘোষপুর মৌজার ৫৭৯৩, ৫১৫৪ নং দাগের প্রায় এক একর জমি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। রেল এখানকার এক একর ৪৪ শতাংশ জমি যার মধ্যে ১২৩ শতাংশ কৃষি এবং ২১ শতাংশ মৎস্য হিসেবে একসোনা লিজ দেয় পাইকহাটি গ্রামের কাজী আব্দুর রাজ্জাককে। পূর্ব দিকের ২১ শতাংশ জমি আগেই চেয়ারম্যান দখল করে সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করেছে। ৮৪ শতাংশ জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাজ্জাক কাজী স্টাম্পের মাধ্যমে ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর ওই ৫জনকে লিখে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন টাকার দেয়ার কথা স্বীকার না করলেও রাজ্জাক কাজী বলেন কিছু খরচের টাকা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যান ক্ষমতাধর ব্যক্তি, আগে ২১ শতাংশ জোর করে দখর করে নিয়েছে। তাই কিছু খরচপাতি নিয়ে বাকি জমি দিয়ে দিয়েছি। বাকি জমিতে নিজে একটি স’মিল দিয়ে ব্যবসা করি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, এখানে একটি বাজার করার ইচ্ছা আছে। সেজন্যই জমির লিজ গ্রহিতার নিকট থেকে আমরা লিখে নিয়েছি। আমরা বৈধভাবেই ঘর নির্মাণ করছি। কৃষি ও মৎস্য হিসেবে শ্রেনিভূক্ত জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ যাবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বানিজ্যিকভাবে লিজ পাওয়ার জন্য আমরা আবেদন করেছি। তবে এ সংক্রান্ত কোন কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।
রেলওয়ে পাকশি অফিসের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী মোবাইল ফোনে বলেন, রেলের পুকুর বা ডোবা ভরাট করার কোন নিয়ম নেই। কোন স্থাপনাও নির্মাণ করা যাবে না। লিজ গ্রহিতা পজিশন হস্তান্তর করতে পারবে তবে সে ক্ষেত্রে অফিস থেকে তাদের নামে কাগজপত্র করে নিতে হবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আরও জানান।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস