বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে বখাটের ছুরিকাঘাতে নিহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসার (১৪) হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আবার সড়ক অবরোধ করেছে তার সহপাঠীরা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেয়।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করছেন। এদিন দুপুরে তারা কাকরাইল স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করলে আশপাশের রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
রিসা হত্যার ঘটনায় ওবায়দুল রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সে যেন পালাতে না পারে, এ জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। রমনা থানার উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গতকাল সোমবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ওবায়দুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মাস ছয়েক আগে স্কুলের ড্রেস বানাতে রিসা মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল দরজির কাছে। সেই দরজি ফোন নম্বর পেয়ে উত্ত্যক্ত করত তাকে, পিছু নেয় তার। মৃত্যুর আগে রিসা বলে গেছে, ওই দরজি ওবায়দুলই ছুরি মেরেছে তাকে। পুলিশকেও সে এই জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, রিসা গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে জবানবন্দিতে বলেছে, বখাটে ওবায়দুল তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছে। হামলার আগের দিনও সে তার পিছু নিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওবায়দুলকে ধরতে তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অভিযান চালানো হয়েছিল। হত্যার পর সেখানে অবস্থান করেছিল সে। কিন্তু গণমাধ্যমে ওবায়দুলের ছবি প্রকাশ হলে গ্রামের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে, শিক্ষক রায়হানুল হক বলেন, ‘রিসা মেধাবী ছাত্রী ছিল। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এত দিনেও কেন খুনি গ্রেপ্তার হচ্ছে না?’
নবম শ্রেণির ছাত্র সোহেল বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো কারণে নয়, সহপাঠীর হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছি। খুনি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওবায়দুলের পুরো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। যেকোনো সময় সে গ্রেপ্তার হতে পারে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
বাংলা৭১নিউজ/এস