রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ করা হয়েছে বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা

‘রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক : নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) কর্মকর্তা জড়িত বলে সন্দেহ করছেন একজন শীর্ষ তদন্ত কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহ আলমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সন্দেহভাজনরা ব্যাংকটির অর্থ লেনদেন ব্যবস্থাকে সবার জন্য উন্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করে হ্যাকারদের প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এর ফলে সুইফট কোড হ্যাক করে অর্থ চুরি করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদ শাহ আলম । রয়টার্স জানিয়েছে, তারা চলতি ডিসেম্বরে এ পুলিশ কর্মকর্তার ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এর মাধ্যমে অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের লোকদের জড়িত থাকার বিষয়ে মোটামুটি বিস্তারিত ধারণা পাওয়া গেছে।

শাহ আলম জানান, চুরির ঘটনার কয়েক মাস আগে থেকেই আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন নেটওয়ার্ক `সুইফটের` নিরাপত্তা পাসওয়ার্ড এর সার্ভারে রেখে দেয়া হয়েছিল। অথচ প্রতিদিনের কাজ শেষে এই পাসওয়ার্ড মুছে ফেলে তা সুরক্ষিত ভল্টে রাখার কথা।

তিনি বলেন, পাসওয়ার্ডের টোকেন মুছে ফেলার ব্যর্থতার সুযোগই নজরদারি না হওয়ার সময়টিতে হ্যাকারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সিস্টেম প্রবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রথমে হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার দিয়ে সিস্টেমে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে অর্থ হস্তান্তরের ভুয়া নির্দেশনা ইস্যু করে।

অর্থ চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরকার কারো অবহেলা ছাড়া অন্য কোনোভাবে কেউ দোষী নয় বলে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দাবি করার কয়েক মাস পর পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম এ মন্তব্য করলেন।

শাহ আলম জানান, তদন্তে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি টেকনিশিয়ানরা সম্ভবত ভেতর থেকে সহযোগিতা করেছে। এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে অনেক বিষয় রয়েছে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকজন না করলে হ্যাক করার কাজটি হওয়া সম্ভব ছিল না।

শাহ আলম বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি টেকনিশিয়ানরা সুইফট নেটওয়ার্ককে পাবলিক ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করেছিলেন।

দেশীয় অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা `দ্য রিয়েল টাইম গ্রস স্যাটেলমেন্ট সিস্টেমের` (আরটিজিএস) সঙ্গে সুইফটকে সংযুক্ত করতে গিয়ে তারা এ কাজ করেছেন।

শুধু আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্যই সুইফটকে ব্যবহার করা হয়। উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত এই নেটওয়ার্কটিকে ইন্টারনেটে যুক্ত করা হলে বাইরের যে কোনও কম্পিউটারের মাধ্যমে এতে ঢোকা সম্ভব ।

সুইফটের সঙ্গে আরটিজিএসের সংযোগ তৈরির কাজ তত্ত্বাবধায়ন করেছে সুইফটের ঠিকাদাররা। তবে কাজটি বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকনিশিয়ানরা করেছে বলে জানিয়েছেন শাহ আলম এবং ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। সুইফট সিস্টেমকে সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত টোকেনকে সার্ভারে ঢুকিয়ে রাখার সঙ্গে কে জড়িত তা জানা যায়নি বলে জানান শাহ আলম।

তিনি বলেন, সুইফটের টোকেন নিরাপদে রাখার জন্য অন্তত ছয়জন কর্মকর্তার দায়দায়িত্ব রয়েছে।

অর্থচুরির ঘটনায় শাহ আলম যে দাবি করছেন তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সংবাদ সংস্থাটির কাছে তিনি সন্দেহভাজন কারও নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

এছাড়া এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। এছাড়া শাহ আলমও তার দাবির স্বপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ দেখাননি।

চুরির ঘটনায় পুলিশের তদন্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা। তবে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তার কোনো কর্মীকে আটক করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়নি।

শাহ আলমের দাবির বিষয়ে অর্থ চুরির ঘটনার তদন্তকারী অন্যতম সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) কোনো মন্তব্য করেনি। ইন্টারপোলও এ ব্যাপারে মন্তব্য করেনি।

সুইফটের মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com