সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির একটি মামলা রায়ের পর্যায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটরের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৪ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।
এ বিষয়ে দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেছেন, মামলাটি রায় থেকে তুলে আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আমরা আদালতে আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সাক্ষী দুজন ম্যাজিস্ট্রেট। এখন আদালত দুজনের সাক্ষ্য নেবেন।
গত ২৮ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছিলেন একই আদালত।
এ মামলায় আসামি ১৯ জন। তাদের মধ্যে হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ- মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে আছেন।
জামিনে আছেন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।
পলাতক আসামিদের মধ্যে আছেন—প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। মামলায় আদালত চার্জশিটের মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ