বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: দুই নারীকে ধর্ষণের মামলায় স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হরিয়ানার আদালত। আজ রোহাতক শহরে কারাগারের ভেতরে বিশেষ আদালত বসিয়ে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আজ রায় ঘোষণার আগে কারাগারের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল কয়েক হাজার সেনা। একই সঙ্গে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কারাগারের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বেসামরিক নাগরিকের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
২০০২ সালে দুই নারী শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ ঘটনায় ডেরা সাচা সৌদা আশ্রমের ভক্তদের তাণ্ডবে ৩৮ জন নিহত হয়। নিরাপত্তার কারণে রাম রহিমকে ওই দিনই হেলিকপ্টারে রোহাতক জেলে আনা হয়। শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক জগদীপ সিং ডেরা সাচা সৌধা আশ্রম প্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। সোমবার তিনিই সেই ধর্মগুরুর শাস্তির মেয়াদ ঘোষণা করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুই শিষ্যার দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় আদালত রাম রহিমকে ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ রুপি করে মোট ৩০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ
থেকে ধর্ষণের শিকার দুই নারীর প্রত্যেককে ১৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাম রহিম জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন দাবি করে তার আইনজীবী আদালতে শাস্তির মেয়াদ কমানো আবেদন করেন। তবে আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেয়ায় আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
তবে সিবিআই জানিয়েছে, শাস্তির মেয়াদে তারা সন্তুষ্ট নয়। তার সাজার মেয়াদ বাড়াতে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রস্তুতে কাজ চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস