রোববার (৬ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
তিনি জানান, শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে নাদের আলী (৫০) ও ৭৪ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সিদ্দিক (৬০) মারা গেছে। তারা দুজনই আইসিইউতে ছিলেন। এরআগে গতকাল রোববার দুপুরে মারা যায় হেলাল।
মৃত নাদের আলী ছিলেন ভাঙারি দোকানের মালিক। তার ছেলে মো. রাসেল জানান, তাদের বাড়ি জামালপুর মেলান্দহ উপজেলায়। পরিবার নিয়ে রামপুরা হাজীপাড়ায় থাকেন। ৩ সন্তানের জনক ছিলেন নাদের। আর লেবার হিসেবে তাদের দোকানে কাজ করত সিদ্দিক। তার বাড়ি রাজবাড়ির পাংশায়।
এরআগে, গত ২ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে রাসেল এন্টারপ্রাইজ নামে ওই ভাঙারির দোকানে আগুনের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি বাকি দগ্ধরা হলেন- শ্রমিক নূরনবী (৫১) ও ইউসুফ (৪৯)।
তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, মধ্যরাতে মালিকসহ ৪ শ্রমিক একটি পিকআপে ভাঙারি মালামাল তুলছিল। তখন সেখানে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে মালিক ও ৪ শ্রমিক দগ্ধ হয়। পরে খবর পেয়ে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরাতন গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে বলে জানান তিনি।
ঘটনার পরদিন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রাফি আল-ফারূক জানান, ওইদিন রাত ১ টা ৪২ মিনিটে বউবাজার মাটির মসজিদ সংলগ্ন ভাঙারির টিনসেড দোকানে আগুন লাগে। সে আগুন পাশের আরেকটি গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২টা ১২মিনিটে আগুন নির্বাপণ করে। পুরাতন গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
চিকিৎসক জানান, নাদের আলীর শরীরের ৪৩ শতাংশ, সিদ্দিকের ৭৪, হেলালের ৮৫, নূরনবী ৪২ ও ইউসুফের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।