কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন রামপুরার বাসিন্দারা। তবে ভোটারদের উপস্থিতি বেশ কম। রামপুরার একটি কেন্দ্রে পাঁচ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতেও ভোটার উপস্থিতি বেশ কম।
ভোট কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং অফিসাররা জানিয়েছেন, ভোটের পরিবেশ খুব সুন্দর। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিত ছিল বেশ কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়ছে।
পূর্ব রামপুরা হাই স্কুলে স্থাপন করা একটি ভোট কেন্দ্রে ৪টি বুথে মোটা ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৩৯৮ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এখানে মাত্র ১৬০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। দুপুর ১টার দিকে সেই সংখ্যা বেড়ে ২০০ এর মতো হয়েছে বলে জানান দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং অফিসার।
কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং অফিসার নাঈমুজ্জামান বলেন, এখানে ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। নারী এখানে ভোট দিচ্ছেন। কোনো প্রকার ঝামেলা হয়রানি ছাড়াই তারা ভোট দিতে পারছেন।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে ভোটারের সংখ্যা বাড়ছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত মাত্র ৬০ জন ভোট দিয়েছিলেন। দুপুর ১২টায় ১৬০ জন হয়ে গেছেন। আমরা ধারণা করছি দুপুর ২টায় আড়াইশ’ ছাড়িয়ে যাবে।
রামপুরা সালামবাগ জামে মসজিদ ও জামিয়া আনওয়ারুল উলূম মাদরাসা ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ফয়সাল বার্ক। তিনি বলেন, আমার অধীনে ৪টি বুথ আছে। পুরুষ ভোটদের জন্য স্থাপন করা এই বুথগুলোতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭ জন। এর মধ্যে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ২৩৮ জন।
ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ খুবই ভালো। মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। কারো উপর কোনো ধরনের চাপ নেই।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ সেটা আমরা বলতে পারবো না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। আমাদের ধারণা দুপুরের খাবারের পর ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে।
দিদার আদর্শ কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন মো. সামসুজ্জোহা। তিনিও ভোটের পরিবেশ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভোট খুব স্বচ্ছ, সুন্দর ও ঝামেলা মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের উপর কোনো ধরনের চাপ নেই।
ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩০০ ভোট পড়েছে। এখানে পুরুষ ভোটদের জন্য ৪টি বুথ আছে। আর মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৭ জন।
ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার মানুষ ঘুম থেকে এমনি দেরিতে ওঠে। অনেকর নানা ধরনের কাজ থাকে। মানুষ কাজ শেষ করে ভোট দিতে আসছে। এজন্য সকালের দিকে ভোটার সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। এখন আস্তে আস্তে ভোটার সংখ্যা বাড়ছে। আমরা আশা করছি দিনশেষে ভালো ভোট পড়বে।
রামপুরার আর একটি ভোট কেন্দ্র গ্রিন গার্ডেন ল্যাবরেটরি হাই স্কুল। নারী ভোটারদের জন্য এখানে ৪টি বুথ রয়েছে। এই চার বুথে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৭১০ জন। এর মধ্যে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ১২৬ জন।
ভোট কেন্দ্রটিতে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে সবাই নারী ভোটার। সকালে নারীদের বাসায় বিভিন্ন কাজ থাকে। সংসারের কাজ গুছিয়ে নারীরা ভোট দিতে আসছেন। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমরা ধারণা করছি দুপুরে খাবার পর ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাবে।
এদিকে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও কেন্দ্রগুলোর সামনে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের বেশ ভিড় রয়েছে। তারা গল্প-গুজব করে সময় পার করছেন।
পূর্ব রামপুরা হাইস্কুলের সামনে কথা হয় বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি নৌকার সমর্থক। ভোটের পরিবেশ দেখার জন্য এখানে রয়েছি। ভোটাররা তুলনামূলক কম আসছে তবে এখানে কোনো ঝামেলা নেই। সবাই সুন্দর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ