বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : বাগেরহাটে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী এ (রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র) নিয়ে অহেতুক ইস্যু সৃষ্টি করছে। ‘তারা (আন্দোলনকারীরা) আসলে কী চায় এবং তাদের উদ্দেশ্যই বা কী সেটা আমি জানি না। হতে পারে তাদের মনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে।’
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৪৭তম বার্ষিক সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর উত্থাপিত একটি ইস্যুর প্রেক্ষাপটে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
বিশ্বখ্যাত পরিবেশবাদী ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোরকে বাংলাদেশ সফরে এসে এ প্রকল্প দেখার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আল গোরের উদ্দেশে বলেন, রামপালে কী ঘটছে তা দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসুন এবং নিজেই দেখুন এটি (বিদ্যুৎ কেন্দ্র) পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিনা।
বুধবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস হলে ‘লিডিং দ্য ফাইট এ্যাগেইনস্ট ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক এ অধিবেশনে শেখ হাসিনা ও আল গোর ছাড়াও অংশ নেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এলনা সোলবাগর্, এইচএসবিসি’র সিইও স্টুয়ার্ট গাল্লিভার, কফকো এগ্রি’র সিইও জিংগতাও চি প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, এ প্লান্ট কেন এবং কীভাবে পরিবেশের ক্ষতি করবে এ ব্যাপারে রামপাল প্রকল্প বিরোধীরা কোন যৌক্তিক কারণ তুলে ধরতে পারেননি। এমনকি তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের আহ্বানেও সাড়া দেয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের আউটার বাউন্ডারির ১৪ কিলোমিটার দূরে এবং ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের ৭০ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হবে। এছাড়া এটি হবে পরিচ্ছন্ন কয়লাভিত্তিক প্রকল্প। এতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন এবং এর সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ এবং বসতি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জলবায়ুর পরিবর্তন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোরও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে সহযোগিতা বৃদ্ধির দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী নই, কিন্তু আমরা প্রবলভাবে পরিস্থিতির শিকার।’
বাংলা৭১নিউজ/এম