চাকরির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা। এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে রাতভর নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ রেখেছিলেন তারা।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রশাসন ভবন দুটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ৯টায় উপাচার্য ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ দুই উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর এই ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আজ সকাল ৮টায় উপাচার্য ভবনের তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের একজন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অ্যাক্ট আছে সেই অ্যাক্টের পরিপন্থী। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এদিকে, গতকাল রাতে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সব ধরনের নিয়োগ বাতিল রাখার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজ এডহকে একজনের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ‘ক্যারিফাই’ হওয়ার জন্যেই নেতা-কর্মীরা গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে চাকরি দেওয়ার জন্য। যেহেতু নিয়োগ বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আছে। তাই আমি বিষয়টি সচিবকে জানিয়েছি, তিনি নিয়োগ দিতে বলেছেন এবং নিয়োগ দিয়েছি।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘এই নিয়োগের প্রেক্ষিতে সন্ধ্যার দিকে তারা এসেছে, কারণ তারা ভেবেছে আমি আবার নিয়োগ দেয়া শুরু করেছি। পরবর্তীতে যখন আমি বোঝাই, প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে আসা সুপারিশ অনুযায়ী আমি নিয়োগটি দিয়েছি। তখন তারা বলে, তাহলে আমাদের চাকরির ব্যবস্থাও করেন। তাদের চাকরির বিষয়ে আমার নেতিবাচক সিদ্ধান্ত শুনে তারা আন্দোলন শুরু করে দেয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি