খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে এলজি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বিক্রি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়া প্রকাশ্যে প্রেশার মেশিনের সাহায্যে সিলিন্ডার থেকে সরাসরি সিএনজিতে গ্যাস বিক্রি করছে তারা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস বিক্রি করায় যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভায় অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন স্থানে এলজি সিলিন্ডার থেকে সিএনজিতে গ্যাস বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর রান্নার কাজে ব্যবহৃত এসব গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সিএনজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে প্রতিদিন শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও গ্যাসচালিত যে কোনও ধরনের গাড়িতে গ্যাস বিক্রি করছে তারা।
অভিযান চালিয়েও এভাবে গ্যাস বিক্রি করে বন্ধ করা যাচ্ছে না। গ্যাস বিপণনের জন্য নেয়া হয়নি ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন। প্রাক্যশ্যে বেআইনিভাবে গ্যাস বিক্রি করলেও জানে না ফায়ার সার্ভিস। ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস বিক্রি করায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। অভিযান চালিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না।
মাটিরাঙা পৌরসভার ৩নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন লিটন জানান, এখানে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সিএনজিতে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। এর আগেও অভিযান হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার চালু হয়েছে। বছরের পর এভাবে গ্যাস বিক্রি করছে বেপোয়ারা অসাধু ব্যবসায়ীরা।
অবৈধ গ্যাস স্টেশনের মালিক ইউপি সদস্য বকুল মেম্বার জানান, আমরা লাইন্সেসের জন্য আবেদন করেছি। তবে এখনো অনুমোদন পায়নি।
প্রকাশ্যে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিক্রি করলেও কিছুই জানেই না ফায়ার সার্ভিস।
মাটিরাঙা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাদেকুর রহমান জানান, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সিএনজিতে গ্যাস বিক্রি করার জন্য কোনও অনুমোদন নেই। শিগগির প্রশাসনের সহযোগিতা করায় এসব গ্যাস বিপণনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক জানান, এর আগেও পৌর এলাকায় অবৈধভাবে সিলিন্ডার থেকে সিএনজিতে গ্যাস সরবরাহ করা হতো। অভিযান চালানোর পর কিছুদিন বন্ধ ছিল। তারা আবারো অবৈধভাবে এভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝুকিপূর্ণ জেনেও সাশ্রয় হওয়ায় এসব অবৈধ গ্যাস বিক্রেতাদের কাছ থেকে গ্যাস নিচ্ছেন স্থানীয় সিএনজি চালিত অটোচালকরা।
সিএনজিচালিত অটোচালক সমিতির সভাপতি মো.আবদুস সোবহান জানান, দূরবর্তী স্থান থেকে গ্যাস নিয়ে আসা খুব কষ্টকর। অনেক সময় রাস্তার মধ্যে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এখান থেকে গ্যাস কেনা হয়।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যারা রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সিএনজিতে অনুমোদন ছাড়া গ্যাস বিক্রি করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
এটি অত্যন্ত অনিরাপদ। অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করে দেবে বলে জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এএম