বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আমবাগান বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে বেশ কিছু ঘর।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র মোদক জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফার্মগেইটের কাছে গ্রিন সুপার মার্কেটের পেছনের ওই বস্তিতে আগুন লাগার খবর পান তারা।
“আমাদের দশটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ হোস্টেলের পেছনে ওই বস্তিতে কীভাবে আগুন লাগে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
আগুনে বেশ কিছু ঘর পুড়ে গেছে; তবে ক্ষয়কক্ষতির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে গড়ে ওঠা ওই বস্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অনেকের বসবাস। কেউ আবার সেখানে ঘর তুলে স্থানীয় নিম্ন আয়ের মানুষকে ভাড়া দিয়েছেন।
আগুন লাগার পর আতঙ্কিত বস্তিবাসীর মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার চেষ্টায় ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। কাউকে কাউকে দেখা যায় যৎসামান্য সম্বল আগুন থেকে বাঁচিয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রাথমিকভাবে হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে।
বস্তির বাসিন্দা রহিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বাসার সবাই বেরিয়ে আসতে পেরেছি। তবে টাকা-পয়সা, জিনিসপত্র যা ছিল সব গেছে।”
আফজাল হোসেন নামের একজন জানান, বৈদ্যুতিক তার থেকে একটি ঘরে আগুন লাগে এবং পরে তা ছড়িয়ে পড়ে।
মো. জাহাঙ্গীর নামের আরেকজন বলেন, “আমরা ঘুমায় ছিলাম। ঘুম থেকে উইঠ্যা দেখি আগুন। ঘুম থেইক্যা উঠতে যতটুক দেরি, আগুন বাড়তে দেরি নাই।”
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক আমবাগনে যান। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন তারা।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রিয়াদ হোটেলে আগুন লাগার খবর পাওয়ার যায়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন বলে নিয়ন্ত্রুণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কীভাবে ওই হোটেলে আগুন লেগেছিল, তা জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস